Loksabha Election 2024: উলুবেড়িয়ায় কার পাল্লা ভারী, কী বলছে ভোটের সমীকরণ!
রাজ্যে নিশ্ছিদ্র বাম দুর্গগুলির অন্যতম ছিল উলুবেড়িয়া। স্বাধীনতার ৭৫ বছরের ইতিহাসে ৫৫ বছর এই আসনে কায়েম ছিল বাম শাসন। ১৯৭১ থেকে টানা ২০০৪ অবধি ভোটে জিতেছে বাম প্রার্থীরা। তাঁর মধ্যে প্রথম দু বছর শ্যামাপ্রসাদ ভট্টাচার্য এবং পরে শেষ ৭ বার সিপিআই নেতা হান্নান মোল্লা ছিল উলুবেড়িয়াড় সাংসদ। ২০০৯ সালে প্রথম হান্নান মোল্লাকে হারিয়ে সাংসদ হন তৃণমূলের সুলতান আহমেদ। সেই থেকে শুরু। বর্তমানে শাসক দলের এক ছত্রাধিপতি রাজ এই কেন্দ্রে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে ৭তে ৭ পেয়েছে তৃণমূল। আবার ৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮৮টি জোড়াফুলের। যে দুটি রয়েছে তাতেও বিজেপি নয় জয় পেয়েছিল বামেরা। ২০১৪ সালেও এই আসনে তৃণমূলের টিকিটে জয় পান সুলতান। কিন্তু ২০১৭ সালে তিনি মারা যান। তারপর তাঁর স্ত্রী সাজদা আহমেদ ২০১৮ সালে উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। ২০১৯ সালেও তিনি জোড়াফুল টিকিটে জিতে দিল্লি গিয়েছিলেন। এই লোকসভা ভোটেও বিদায়ী সাংসদকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
বিজেপি প্রার্থী করেছে অরুণউদয় পাল চৌধুরী। ১৯৮২ থেকে যুক্ত দলের সঙ্গে। কলেজে থাকাকালীন সময়ে যোগ দেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে। ২০১৪ সালে হাওড়া জেলার গ্রামীণ সাংগাঠনিক জেলার সাধারাণ সম্পাদক করা হয় অরুণকে। পরের বছরে সভাপতি। তবে সংসদীয় রাজনীতিতে এই প্রথম পা তাঁর। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও প্রার্থী হননি অরুণ। তবে দীর্ঘদিন এলাকায় সাংঠনিক স্তরে রাজনীতি করার সুবাদে ৭টি বিধানসভা এলাকা তাঁর নখদর্পণে। যদিও তাঁকে সাধারণ মানুষ প্রার্থী হওয়ার আগে কতটা চিনত তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। জোট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আজহার মল্লিক।
তবে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আসন না থাকলেও ২০১৯ নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপিই। ২০১৯ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ঝুলিতে ছিল ৫৩% ভোট। সেখানে তাঁর নিকটতম প্রার্থী বিজেপির জয় বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৩৬.৫৮% ভোট। প্রায় ২ লাখের বেশি ভোটে জেতেন সাজদা। অন্যদিকে বামেরা পেয়েছিল ৬.২০% ভোট এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ২.১০% ভোট।
এই আসনে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট সংখ্যা লঘু। গত বিধানসভা ভোটে হাত উপুর করে শাসক দলকে ভোট দিয়েছেন তাঁরা। তবে এই ভোটের অঙ্ক একটু আলাদা। একদিকে যেমন সংখ্যালঘু ভোটের আধিক্য অন্যদিকে তেমনই রয়েছে রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হিন্দু আবেগ। তাই কে বাজিমাত করবে তা বলবে সময়।