C V Ananda Bose : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামাজিকভাবে বয়কটের সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। আরজি কর কাণ্ডের জেরেই মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের। রাজভবনের সিদ্ধান্তে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, আপনি যদি কখনই জনসমক্ষে না আসেন সেটাই দেশের মহিলাদের ক্ষেত্রে মঙ্গলজনক হবে।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উদ্ভূত অচলাবস্থা নিরসনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু বৈঠক সরাসরি সম্প্রচারের প্রস্তাব মানেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাই বৃহস্পতিবার বৈঠক ভেস্তে যায়। এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিক বয়কট করবেন বলে জানান তিনি।
রাজভবন বয়কটের কথা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া লেখেন, মাফ করবেন? রাজভবন চত্বরে শ্লীলতাহানিকাণ্ডে অভিযুক্ত। আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চ ভাগ করবেন না? আপনি যদি কখনও জনসমক্ষে না আসেন সেটাই দেশের মহিলাদের ক্ষেত্রে মঙ্গলজনক হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনার পাশাপাশি একাধিক প্রশ্নও তুলেছেন রাজ্যপাল,
রাজ্যপালের প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তিনিই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সকলকে রক্ষা করার বদলে, প্রতিবাদে নেমেছেন। কেন এখনও পর্যন্ত কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি পদক্ষেপ করা উচিত।
এদিকে, রাজ্যপালকে বিজেপির এজেন্ট বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
আরজি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে নতুন করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। তবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা এই বিতর্কে ঢুকতে নারাজ। তাঁরা চান নির্যাতিতার পরিবার বিচার পাক। স্বাস্থ্য বিভাগ স্বচ্ছ হয়ে উঠুক।