গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্তদের কেউই! ভুপতিনগরকাণ্ডে এ বার এনআইএ আধিকারিকেই নোটিস পুলিশের

0 14

পার হয়ে গিয়েছে তিন দিন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভুপতিনগরকান্ডে এখনও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে এ বার এনআইএ আধিকারিককে নোটিস পাঠাল পুলিশ। সূত্রের খবর আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে আক্রান্ত এনআইএ আধিকারিককে ভূপতিনগর থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে। তদন্তের কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকা হয়েছে বলে খবর। আক্রান্ত আধিকারিকের মেডিক্যাল রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

কেবল এনআইএ আধিকারিক ন্য়, তদন্তের কারণে নোটিস পাঠানো হয়েছে কয়েকজন গ্রামবাসীকেও। এনআইএর যে গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছিল তাও ভূপতিনগর থানার পুলিশের কাছে তুলে দিতে বলা হয়েছে। সেই গাড়িটির ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ্ মাইতির দাবি সন্দেশখালির মতো ভূপতিনগরেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশের ছত্রছায়ায় রয়েছে।

একই তালে সুর মিলিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তাঁর কথায়, ‘যাদের ধরতে গিয়েছিল আর এনআইএর উপরে হামলা করেছে যারা, তারা তৃণমূলের নেতা, বোমার কারবারি।‘

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল শনিবার দুবছরের পুরনো ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেশখালির মতোই আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক। আবার এনআইএ আধিকারিক এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং ভাঙচুরের পাল্টা অভিযোগ আনেন ধৃত নেতা মনোব্রত জানার স্ত্রী মণি জানাও।

মামলা পালটা মামলা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টেও যায় এনআইএ। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে মামলার অনুমতি দিয়েছেন। আজ সেই মামলার শুনানি। প্রসঙ্গত। কয়েকমাস আগে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েও আক্রান্ত হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। আবার কেব্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধেও জোর করে বাড়িতে ঢোকা শ্লীলতাহানির মতো অভিযোগ উঠেছিল।  ইডির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ। যা নিয়ে হাই কোর্টে সমালচনাও হয়েছিল।    

Leave A Reply

Your email address will not be published.