নিউজ ডেস্ক, ১৭ নভেম্বর : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া অতি গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়েছে এবং তা ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’-তে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়ছে কলকাতা, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানে।
ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার রাতে অথবা শনিবার ভোরে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মিধিলির অপেক্ষাকৃত বেশি প্রভাব পড়তে চলেছে সুন্দরবন এলাকায়। এটি ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি পাত এবং শক্তিশালী বাতাস বয়ে আনতে পারে।
এক্ষেত্রে মিধিলি নিয়ে সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করা হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে কৃষকদের জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বর ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের পারাদ্বীপ (ওড়িশা) থেকে ১৯০ কিলোমিটার পূর্বে, দিঘা (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে ২০০ কিলোমিটার এস-এসই এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।