নিউজ ডেস্ক, ২৫ অক্টোবর : রাজ্যপালের ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করল কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব। শুধু পুরস্কার প্রত্যাখানই নয়, রাজ্যপালের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পুজো কমিটির দাবি, ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বকেয়া না মেলাতেই এই সিদ্ধান্ত তাদের। রাজভবনের দুর্গারত্ন পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের মধ্যে পরিস্কার রাজনীতি দেখছে বিজেপি।
দশমীতেই রাজ্যের সেটা সেরা ৪টি পুজোকে দুর্গারত্ন পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। চলতি বছর প্রথম এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। রাজভবনের দাবি, মানুষের বিচারে সেরা চার পুজোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পুরস্কৃত ৪ পুজো কমিটিকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেবে রাজভবন। প্রথমবার এই দুর্গারত্ন পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয় কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের দুর্গাপুজো। যদিও সেই পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেছে তারা। তাদের বক্তব্য, একশ দিনের কাজের কেন্দ্রীয় বকেয়া না মেলাতেই এই সিদ্ধান্ত।
বিগত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের সেরা পুজোগুলিকে পুরস্কৃত করে আসছে রাজ্য সরকার। এবছর রাজভবনের তরফে নতুন করে পুরস্কারের ঘোষণার পরপরই তৃণমূলের তরফ থেকে আক্রমণ শানানো হয়েছিল। পুজো শেষের পরও তা অব্যাহত থাকল। ইন্ধন যোগালো কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, এবছর ‘দুর্গারত্ন পুরষ্কার ২০২৩’ পেয়েছে…
১) টালা প্রত্যয়
২) কল্যাণী আইটিআই মণ্ডপ
৩) বরানগর বন্ধুদল স্পোর্টিং
৪) নেতাজি কলোনি
চারটি পুজো কমিটিকে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কৃত করবে রাজভবন। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এবার সেরা পুজোকে ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যপালও। মঙ্গলবার রাতে সেই পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে রাজভবন। মানুষের বিচারে সেরা চার পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হল বলে জানিয়েছে রাজভবন। পুরস্কারের সূচনা এবছর থেকেই।