নিউজ ডেস্ক, ৪ অক্টোবর : সিকিমে তিস্তার রুদ্ররূপ। বর্ষার বিদায়ের আগে ভয়াবহ অবস্থা সিকিমের। নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। অবশিষ্ট ভারতের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বুধবার কাকভোরে হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টি উত্তর সিকিমে। লোনাক হ্রদের জল উপচে পড়ে। বেড়ে যায় তিস্তার জলস্তর। চুংথাম বাঁধ থেকে জল উপচে পড়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। জলস্তর বেড়ে ১৫-২০ ফুটে পৌঁছয়।
হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে তিস্তার ধ্বংসলীলা সিকিমে। হড়পা বানে নিখোঁজ কমপক্ষে ২৩ জন সেনা জওয়ান। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সেনার একাধিক গাড়িও। একটি সেতুও ভেঙে গিয়েছে। আশঙ্কা নিখোঁজ হয়েছেন আরোও অনেক লোক। ফেটে পড়েছে লোনক হ্রদ। তিস্তা, নামচিতে জারি করা হল লাল সতর্কতা।
হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে সেনা ছাউনি। সিংতামে নিখোঁজ ২৩ জওয়ান।জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সেনার বহু গাড়ি এবং বেশ কয়েকটি সেনা ছাউনিও। তলিয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসও নেমেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। এই ঘটনার জেরে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চুংথাম।
সকালেই সিংতামের কাছে বারদাংয়ে সেনা ছাউনিতে হু হু করে জল প্রবেশ করতে শুরু করে। ভেসে গিয়েছে ছাউনির প্রায় সমস্ত কিছুই। হড়পা বানের জেরে ভেঙে যায় একটি সেতুও। জলের স্রোতে জওয়ানরা খাদে পড়ে গিয়েছেন নাকি অন্য কোথাও ভেসে গিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে সিংতামে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের। তাই সবার সাহায্যের প্রয়োজন। একথাই বললেন সিকিমের প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ডি আর থাপা।
হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বহু জায়গা। সিংতাম ও রংপোর বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত৷ মানুষকে তিস্তা নদী থেকে দূরে থাকার পরামর্শ সিকিম প্রশাসনের।