ফের শারিরীক নির্যাতনের বলি এক গৃহবধূ। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে তিন দিন ধরে গোয়াল ঘরে আটকে হাত পা মুখ বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। দিনের পর দিন গোয়াল ঘরে মহিলাকে মুখ বেঁধে মারধরের অভিযোগ। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বাগমারা গ্রামের এই ঘটনায় শোরগোল।
কাঠগড়ায় পরিবাররের সদস্যরা। অন্তঃসত্ত্বাকে মারধরের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। আক্রান্ত গৃহবধুর নাম সাইবা খাতুন। বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা মুজাহিদ আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী সাইবা খাতুন। অভিযোগ, তিন দিন ধরে এই গোয়াল ঘরে মুখ বেঁধে আটকে রাখা হয় মহিলাকে। যাতে চিৎকার করতে না পারে। এখানেই চলত শারীরিক নির্যাতন। অভিযোগ স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামের ঘটনায় প্রতিবেশীদের তোলা ভিডিও ভাইরাল হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা মুজাহিদ আলম নিজের এক স্ত্রী নাগার বানু থাকা সত্ত্বেও গোপন রেখে সাইবাকে বিয়ে করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই পরিবারে গোলমাল বাধে। অশান্তি শুরু হয়। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ধর্নায় বসেছিলেন সাইবা। পরে গ্রামে সালিশি সভার পর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য হন মুজাহিদ। তারপর চলে অত্যাচার।
বধূ নির্যাতনের ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।