নিউজ ডেস্ক, ২৮ ডিসেম্বর : শীতের সকালে শহরজুড়ে ইডির হানা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক ব্যবসায়ীর ঘরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারীরা। বেশ কয়েকজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট-এর ফ্ল্যাটেও হানা দিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুরের একটি আবাসনে, মানিকতলা, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, বড়বাজার, ডালহৌসি অঞ্চলের একটি অফিসে, সল্টলেকের বেঙ্গল কেমিক্যালসে দেখা যায় ইডি আধিকারিকদের। ইডির তরফে এই তল্লাশির কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানা না-গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে শিক্ষক দুর্নীতি মামলার তদন্তের সূত্রেই এই অভিযান।
বেলেঘাটায় সানরাইজ টাওয়ারে রাঘব রেন্ডারের ফ্ল্যাটে তল্লাশি। আলিপুর পার্ক প্লেসে মার্লিনের এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি। নেতাজি সুভাষ রোডের রাজেশ দোশির অফিসে তল্লাশি। ভবানীপুরের রাজেশ দোশির এটিএম রোডের ফ্ল্যাটে তল্লাশি। মানিকতলায় মানিকতলা হাউজিং কমপ্লেক্সে অশোক জাদুকার ফ্ল্যাটে তল্লাশি
মানিকতলায় মানিকতলা হাউজিং কমপ্লেক্সে সুবোধ সচারের ফ্ল্যাটে তল্লাশি। গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে পিডি রানাধরের অফিসে তল্লাশি। পণ্ডিতিয়া রোড ও বেহালার দুই ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও তল্লাশি
ডালহৌসিতে ৭৭নং এনএস রোডে রাজেশ দোশির অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাজেশ। বাইপাসে বেঙ্গল কেমিক্যালসের মাণিকতলা আবাসনেও তল্লাশিতে যায় ইডি। এই আবাসনে ১৮ডিবি ফ্ল্যাটে থাকেন ব্যবসায়ী অশোক জাদুকার এবং ১৬ ইউসি ফ্ল্যাটে থাকেন সুবোধ সাচার। কেন ইডির নজরে এই ব্যবসায়ীরা? ফের কি হাওয়ালা যোগ প্রকাশ্যে আসবে?
ইডির তদন্তকারীরা মনে করছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে লেনদেন মানি হ্যান্ডলার হিসেবে কাজ করেছেন এই ব্যবসায়ীরা। কাদের মাধ্যমে টাকা? ব্যবসার টাকার উৎস কী?
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছিল ইডি। এবার মমতার নিশানায় বিজেপি।
বৃহস্পতিবার স্নেহাশিস তালুকদারের ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝির হিসাবরক্ষক স্নেহাশিস। এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও স্নেহাশিসের ঘরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারীরা। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ৬ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে, গত নভেম্বরে হাইকোর্টের স্পেশাল ডিভিশন বেঞ্চকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই জাল গোটাতেই কি কেন্দ্রীয় এজেন্সির এত তৎপরতা?