নিউজ ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর : বেঁচে থেকেও মৃত! তাও আবার সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার কার্ডে। পরিষেবা না পেয়ে পাহাড় থেকে সমতলে নেমেও রক্ষা নেই। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চরম গাফিলতির অভিযোগ। চরম হয়রানি জলপাইগুড়ির বাসিন্দা সৌমিত্র বসাকের।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হার্টের চিকিৎসা করাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ জলপাইগুড়ির বাসিন্দা সৌমিত্র বসাকের। সরকারি কার্ডে পরিষেবা তো পাননি উল্টে ঘটল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। চিকিৎসকের পরামর্শে এনজিওগ্রাফ করার জন্য জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় আসেন বছর ৬৭-এর সৌমিত্র বসাক। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হারিয়ে যাওয়ায় সরকারি দফতরে যোগাযোগ করে নতুন কার্ড করান সৌমিত্রবাবু। কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কার্ড জমা করেন এনজিওগ্রাফ করার জন্য। এর কিছুক্ষণ পর তাঁকে ডেকে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর হাতে একটি জেরক্স কপি ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অনুযায়ী আপনি মৃত। তাই আপনাকে এই কার্ডের পরিষেবা দিতে পারব না আমরা। তিনি জীবীত অথচ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তিনি মৃত!
এরপর তিনি পরিচিত একজনের থেকে টাকা ধার করে এনজিওগ্রাফ করিয়ে জলপাউগুড়ি ফেরেন সৌমিত্রবাবু। জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্যসাথী দফতরের কিয়স্ক ম্যানেজার কৌশিক বিশ্বাস জানিয়েছেন, তারা সৌমিত্র বসাকের অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর গর্বের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী। কিন্তু কখনও কখনও এমন অভিযোগে নষ্ট হয় সরকারের ভাবমূর্তি। এমনই প্রতিক্রিয়া ভুক্তভোগী জলপাইগুড়ির সৌমিত্র বসাকের।