শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় সঞ্চিতা-সুজয়-মুক্তা। কাকদ্বীপের অক্ষয় নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া ৩ জন। অক্ষয় নগর কোমর নারায়ণ স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছেন তাঁরা।
বয়সের সঙ্গে বাড়েনি উচ্চতা। ওজনও কম। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অক্ষয় নগর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্চিতা গিরি। জন্ম থেকেই অসুখ-বিসুখে জর্জরিত। অভাবের সংসারে মেলেনি যথাযথ চিকিৎসাও। অদম্য জেদে সে বসেছে পরীক্ষায়। সঞ্চিতারই পাশে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকজন। তাঁরাই কোলে করে সঞ্চিতাকে পৌঁছে দিচ্ছেন পরীক্ষাকেন্দ্রে।
জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ, লাঠি ধরে চলাফেরা করতে হয় সুজয় দাসকে। ছোট থেকে রয়েছে স্নায়ুর সমস্যা। তিন বার অস্ত্রোপচার হয়েছে। মৎস্যজীবী পরিবারের নিত্যসঙ্গী অভাবকে পাশে সরিয়ে রেখেই এবার মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী সুজয়।
কাকদ্বীপের বাসিন্দা মুক্তা দাস। মুক ও বধির হওয়ার কারণে চিকিৎসা করেও মেলেনি কোন সুরাহা। এই পরিস্থিতিতে মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে সংশয় ছিল পরিবারের। তবে হাল ছাড়েনি মুক্তা।
৩ পরীক্ষার্থী নিয়ে গর্বিত অক্ষয় নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক।
শিক্ষকদের আশা তিনজনই পরীক্ষায় সফল হবে। সহজেই উতরে যাবে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা।