ওয়েনাড় যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত। ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল, এখনও পর্যন্ত ওয়েনাড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০৮। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে মিলেছে দেহাংশ মাত্র। ড্রোনের মাধ্যমে মৃতদেহের সন্ধান চলছে। শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা গোটা কেরালায়। ৭টি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
(Wayanad Landslide) ওয়েনাড়ের ভূমিধসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি গ্রাম মুন্ডাক্কাই, চূড়ালমালা এবং আত্তামালায় এলাকায় যৌথ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ, উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌসেনা। দুর্যোগের পর নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে গ্রামগুলি। উদ্ধার অভিযানকে ত্রুটিমুক্ত করতে ড্রোনের মাধ্যমেও হবে নজরদারি। উদ্ধারকাজ যত এগোচ্ছে, কেরলের ওয়েনাড়ে ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসস্তূপ। কাদামাটিতে এখনও বহু দেহ আটকে আছে বলে আশঙ্কা। মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। মাটি সরতেই বেরিয়ে আসছে দেহ কিংবা দেহাংশ।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘোষণা করেছেন, ধ্বংসস্তূপে আর কেউ জীবিত নেই। ধস নামার পরে কাদামাটি এবং জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছিল মুন্ডাক্কাই এবং চূড়ালমালার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সেতুটি। বৃহস্পতিবার দ্রুততার সঙ্গে সেখানে বেলি ব্রিজ তৈরি করা হয়। অস্থায়ী সেতু তৈরি হয়ে যাওয়ার ফলে উদ্ধারকাজে আরও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার চালিয়ার নদী তীরবর্তী অঞ্চল ধরে তল্লাশি অভিযান চলবে। তবে বৃষ্টি এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে বার বার বিঘ্নিত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। ভূমিধসে ৩৫০টির বেশি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ওয়েনাড়ে এই মুহূর্তে ৪০টি উদ্ধারকারী দলের ১৬০০-র বেশি আধিকারিক কাজ করছেন।
বৃহস্পতিবার ওয়েনাড় পৌঁছেছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিপর্যস্ত ওয়েনাড়বাসীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার দিদি প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ানাড়ের পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন কংগ্রেস নেতা। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা কয়েকটি ত্রাণ শিবিরেও যান। কথা বলেন ঘরবাড়ি হারানো মানুষের সঙ্গে। ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি ও উদ্ধার কাজের পর্যবেক্ষণে গত কয়েকদিন ধরেই রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি কুরিয়েন।