নিউজ ডেস্ক, ৪ ডিসেম্বর : চোর চোর স্লোগানে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপির নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল দল ও সরকার। তৃণমূলের নিশানায় বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি। সোমবার বিধানসভার অন্দরেও উঠল চোর চোর স্লোগান।
সোমবারও উত্তপ্ত রাজ্য বিধানসভা। সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করতেই চোর-চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর সঙ্গে গলা মেলান শঙ্কর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও-রা। এরপরই স্লোগান দিতে দিতেই ওয়াকআউট করেন তাঁরা। চলতি অধিবেশনে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড শুভেন্দু অধিকারী। পরে তিনি এসে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করছে বিজেপি।
তিন রাজ্যে বিপুল জয়ে এদিন বেশ খানিকটা চনমনে ছিল পদ্ম শিবির। বিধানসভার ভিতরে বিক্ষোভ-অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন অধ্যক্ষ। তাই বিধানসভার গেটের বাইরে জয়োল্লাসে মেতে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা। হয় লাড্ডু বিলি। ওঠে মোদীর নামে জয়ধ্বনি।
বিজয়োৎসবের পর মিছিল-ধরনা-অবস্থান বিজেপি বিধায়কদের। তাঁরা মিছিল করে যান রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে। শুভেন্দুকে সাসপেন্ড, বিধানসভার চত্ত্বরে বিক্ষোভ-অবস্থানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি। সেই মিছিলেও শুভেন্দুর নিশানা মুখ্যমন্ত্রী।
বিমানবন্দরে শুভেন্দুকে পাল্টা চোর নিশানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ক্ষিপ্ত শুভেন্দু জবাব দেন বিধানসভায় নিজের ঘর থেকেই।
রেড রোডে এদিন বিজেপি বিধায়কদের অবস্থানস্থলও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোর-চোর স্লোগানে। স্পষ্ট, দুর্নীতিই এখন বঙ্গ রাজনীতির মূল ইস্যু।