ঝড়ে উড়ে গেছে মাথার ছাদ। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ত্রিপল টাঙিয়ে রাত্রী যাপন। শয়ে শয়ে পরিবারের দিন কাটছে এভাবেই। উত্তরের ৩ জেলায় ঝড় বিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে নজর আদৌ রয়েছে রাজনীতিকদের! না ব্যস্ত রাজনীতিতে? দুর্গতরা বলছেন, আবাস যোজনায় ঘর পাননি। তৃণমূল বলছে, এর দায় বিজেপির।
এদের প্রত্যেকেরই দিন আনা দিন খাওয়া সংসার। বহু কষ্টে একটা টিনের বাড়িতেই ছিল সুখের সংসার। আজ নিঃস্ব। নেই মাথার ওপর ছাদ, নেই বিছানাটুকুও। সব উড়ে গেছে বিধ্বংসী টর্নেডোয়। কিন্তু এদের প্রত্যেকেই অভিযোগ একটাই, আবাস যোজনায় বাড়ি পায়নি কেউই।
ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন কেউ আবাস যোজনায় ঘর পাননি। সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ করলেন, কেন্দ্রের টাকা বন্ধ থাকায় ঘর পাননি বাংলার মানুষ।
ঝড় হলে পৌষমাস তৃণমূলের। লুটেপুটে খাওয়ার সুযোগ হয়। কটাক্ষ বিজেপির। এর আগে একাধিক ঝড়েও তৃণমূল ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের টাকা লুটেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির আরও দাবি, এতদিন কেন বাড়ি করে দেয়নি রাজ্য? টাকার হিসেব দিলেই টাকা দেবে কেন্দ্র।
গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে আসছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ও ২০১৭-১৮ সালের সমীক্ষায় আবাসের তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের জন্য কেন্দ্র ১০ পয়সাও দিয়ে থাকলে শ্বেতপ্রত্র প্রকাশ করুন। বারবার তিনি মুখোমুখি বসার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না বিজেপি। ফলে আবাস নিয়ে তৃণমূলের সুর এখন সপ্তমে। এবার তাতে জুড়ল উত্তরের ৩ জেলায় ঝড়ে ভেঙে যাওয়া ঘর নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দোষারোপ। কিন্তু সর্বস্বান্ত যে পরিবারগুলির এখন রাত কাটছে তাঁবুতে তাদের কাছে কি জবাব দেবে সরকার? কেন্দ্র-রাজ্য রাজনীতির দড়ি টানাটানিতে জাঁতাকলে আর কতদিন আটকে থাকবে অসহায় মানুষগুলির বাসস্থান?