নিউজ ডেস্ক, ২৮ নভেম্বর : সুড়ঙ্গে আশার আলো। দ্রুত এগোচ্ছে ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের কাজ। শ্রমিকদের আরও কাছে উদ্ধারকারীরা। বাকি আর মাত্র ৫ মিটার, তারপরই উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাবেন উদ্ধারকারীরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই শ্রমিকদের টানেল থেকে বের করে আনা হবে। শ্রমিকদের বের করে আনতে টানেলের উপর থেকে খনন করা হচ্ছে। মোট ৮৬ মিটার খনন করতে হবে।
দ্রুতই ব্রেকথ্রু পয়েন্টে পৌছনো যাবে। উত্তরকাশীর টানেলে উদ্ধারকাজ দেখাশুনা করতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী গত কয়েকদিন ধরেই অস্থায়ী তাঁবুতে রয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে টানেলের ভিতরে যান মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। খতিয়ে দেখেন উদ্ধারকাজের গতিপ্রকৃতি। উদ্ধারকারীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ধামির দাবি, মাইক্রো টানেল খোঁড়ার কাজ এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে। ইতিমধ্যেই ৫২ মিটার পর্যন্ত খননের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে তাঁর দাবি। আর ৫-৬ মিটার খুঁড়লেই পৌছনো যাবে শ্রমিকদের কাছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী জানিয়েছেন, শীঘ্রই সুখবর মিলতে পারে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সকল ইঞ্জিনিয়ার, কর্মীরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছেন। পাইপ প্রায় ৫২ মিটার পর্যন্ত চলে গিয়েছে। যে ভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে শীঘ্রই সুখবর মিলতে পারে।’’
সামনের দিক থেকে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে মাত্র ১০-১২ মিটার বাকি ছিল। সেই অবস্থায় গত শুক্রবার থমকে যায় উদ্ধারকাজ। খননযন্ত্রটি ধ্বংসস্তূপের ভিতরে লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যায়। তার টুকরোগুলি সব বার করার পর সোমবার থেকে আবার সেখানে খননকাজ শুরু হয়েছে। তবে এ বার আর যন্ত্র নয়, হাত দিয়ে খোঁড়া হচ্ছে। প্রয়োগ করা হচ্ছে Rat hole mining প্রযুক্তি।