চারিদিকে মৃত্যু মিছিল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে মৃতদেহ। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। লাশের পর লাশ ঢুকছে মর্গে। উত্তরপ্রদেশের হাথরস কান্ডে উত্তাল গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ১২১ জনের। মৃতদের মধ্যে বেশি মহিলা-সহ শিশু বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে।
মঙ্গলবারের ঘটনায় এফআইআর রুজু করা হয়। তবে এফআইআর-এ নাম নেই স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার। দেবপ্রকাশ মধুকর তথা মুখ্য সেবাদারের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। আজ ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক টিম। এলাহাবাদ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক আইনজীবী। সিবিআই তদন্ত চেয়ে আবেদন জানান। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতেও হাথরাসকাণ্ডে মামলা দায়ের করা হয়। শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত ৫ বিচারপতিকে নিয়ে কমিটি গঠনের আবেদন। শীর্ষ আদালতের তত্বাবধানে তদন্তের আবেদন।
হাথরসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কীভাবে এই দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনিক স্তরে কথা বললেন যোগী। আহতদের হাসপাতালেও দেখতে যান যোগী।
ভোলেবাবার সৎসঙ্গে পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২১ জনের। হাথরসের ঘটনার পর ‘ভোলে বাবা’ পলাতক।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ‘সৎসঙ্গ’-এর ডাক দিয়েছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’। কে এই ভোলে বাবা? ভোলে বাবার পুরো নাম নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি। উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলার বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা ‘ভোলে বাবা’। ‘ভোলে বাবা’ র দাবি, তিনি এককালে গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করতেন। ধর্মীয় বাণী প্রচারের জন্য ২৬ বছর আগে গোয়েন্দা বিভাগের চাকরি ছাড়েন। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, দিল্লি সহ গোটা ভারতে অসংখ্য ভক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরুর। সমাজমাধ্যমে ‘ভোলে বাবা’র কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। ‘ভোলে বাবা’র ভক্তদের দাবি, সমাজের বিভিন্ন স্তরে তাঁর অনুপ্রেরণা কাজ করে।
উল্লেখ্য, রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল মঙ্গলবার। অনুষ্ঠান শেষ হতেই একটি ছোট গেট দিয়ে একসঙ্গে বেরিয়ে আসতে চান সকলে। চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিপুল সংখ্যক পুণার্থী একসঙ্গে একই জায়গা দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করায় পদপিষ্ট হয়ে মারা যান অনেকেই। মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।