চীনের ওপর ১০৪% শুল্ক চাপাল ট্রাম্প, শুল্কযুদ্ধ তুঙ্গে!

11

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা বুধবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে, চীন থেকে আসা পণ্যের উপর অভূতপূর্ব ১০৪ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। এর আগে চীন মার্কিন পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন চীনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই শুল্ক প্রত্যাহারের সময়সীমা দিয়েছিল। বেইজিং অবশ্য ওয়াশিংটনকে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল।
এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের উপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা জানান। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করত, যা ট্রাম্পের মতে, মার্কিন অর্থনীতিকে (“US economy”) দুর্বল করছিল। এরপর তিনি “reciprocal tariff” (পারস্পরিক শুল্ক) নীতি ঘোষণা করেন, যেখানে অন্য দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর যে শুল্ক আরোপ করে, তার প্রায় অর্ধেক শুল্ক আমেরিকা সেই দেশের উপর চাপায়।
এই পদক্ষেপের ফলে চীনের উপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়, যা বেজিংয়ের ক্ষেত্রে মোট ৪৪ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর হোয়াইট হাউস জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (“US”) বিশ্বের অন্যান্য দেশের উপরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ “non-reciprocal tariff” (অপারস্পরিক শুল্ক) ধার্য করবে। এর উদ্দেশ্য ছিল ফেডারেল রিজার্ভের তহবিল বৃদ্ধি করা।
এই পরিস্থিতিতে চীনের উপর মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৪ শতাংশে। সর্বশেষ, চীনের উপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ফলে বেইজিংয়ের (“Beijing”) উপর মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, যা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (“President Trump”) আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খোলা রেখেছেন।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “Truth Social”-এ লিখেছেন, চীনও (“China”) একটি চুক্তি করতে আগ্রহী, কিন্তু তারা জানে না কীভাবে শুরু করতে হয়। আমরা তাদের ফোনের জন্য অপেক্ষা করছি।

Trump, Tariffs On China, US Tariffs On China, US economy, reciprocal tariff, non-reciprocal tariff, Beijing, President Trump, China.

Comments are closed.