শিকল বেঁধে অত্যাচারের খবর সামনে আসার পরই গ্রেফতারির আশঙ্কা করে থাকেন সোনারপুরের জামাল সর্দার। মাস্ক পরাটাই কাল হল। মাস্ক দেখে সন্দেহ হওয়াতেই এগিয়ে গেল পুলিশ। আইসি সোনারপুরের নেতৃত্বে তদন্তকারী দলের হাতে গ্রেফতার হল সোনারপুরে তৃণমূল নেতা জামাল সরদার।
মঙ্গলবার দুপুরেই দুপুরেই প্রাসাদোপম বাড়ি ছাড়ে জামাল। পাঁচিল টপকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় জামালের স্ত্রী ও ছেলেও। ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায় শ্বশুরবাড়ির কাছে কোথাও থাকার পরিকল্পনা থাকলেও সেদিন জঙ্গলের মধ্যে রাত কাটায় জামাল। ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বিধাননগরে স্টেশনে নামে জামাল। সেদিনটা কাটায় বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় এক পরিচিতের বাড়িতে। এরইমধ্যে সংবাদমাধ্যমে সোনারপুরে তাঁর খবর সম্প্রচার হতে দেখে পরিচিতের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে।
করে ফেলেন আত্মসমর্পনের পরিকল্পনাও। বৄহস্পতিবার সোনারপুর থানার কাছাকাছি মিলনপল্লি এলাকায় সে চলেও আসে ৷ কিন্তু তার আইনজীবি তাকে আত্মসমর্পনের বিষয়ে মানা করলে ফের এলাকা ছাড়ে জামাল৷ এরইমধ্যে নিজের ফোন পরিবর্তন করে নেয় নতুন সিম কার্ড। আশ্রয় নেয় ডানকুনিতে এক পরিচিতের বাড়িতে। স্ত্রী ও সন্তানের জন্য চিন্তা হচ্ছিল তার৷ তাদের কোথাও একটা নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার পরিকল্পনা করে সে৷ এই কারণে শাশুড়িকে ফোন করে নিজের বিপদ বাড়ায় জামাল৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার শ্যালককে নিয়ে যায় সোনারপুর থানার পুলিশ। নিজের কাছের লোককেও আর বিশ্বাস করতে পারছিল না জামাল৷
গত বৃহস্পতিবার স্ত্রী ও সন্তানের জন্য নিরাপদ জায়গার ব্যবস্থা করে জামাল। আগামী ৬ মাসের জন্য পালিয়ে যাওয়ার ছক কষে জামাল। পালিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সোনারপুরের জামাল সরদার।
জামালকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম তৈরি করা হয়েছিল ৷ সোনারপুর থানার আইসি আশিস দাসের নেতৄত্বে একটি টিম শুক্রবার সারাদিন নানান জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়৷ তারাই শেষ পর্যন্ত জামালকে গ্রেফতার করে৷