দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি ব্লকের মহিষবাথানে ঐতিহ্যবাহী মুখোশিল্পীদের বাস। সিঙ্গেল কাঠের ব্লকের ওপর তৈরি মুখোশগুলো দেশের পাশাপাশি বিশ্বের দরবারেও সমাদৃত। শিল্পীদের দাবি, পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধনের অভাবে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে মুখোশের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। তবে মূলধনের অভাবে বেশি সংখ্যক শিল্পীকে এই কাজে নিয়োগ করা যাচ্ছে না।
ভোটের প্রচারে বেরিয়ে সেই মুখোশ শিল্পীদের গ্রামে গেলেন সুকান্ত মজুমদার। শিল্পীদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন বিজেপি প্রার্থী। শিল্পীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন সুকান্ত মজুমদার। এদিকে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকির দাবি, মুখোশ শিল্পকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের মহিষবাধান এবং সংলগ্ন এক বিস্তৃণ অঞ্চলের প্রাচীন লোকশিল্প এই মুখোশ শিল্প বা মুখা। প্রথা অনুযায়ী গ্রামীণ দেবী চন্ডীর আরাধনায় স্থানীয় রাজবংশী জনগোষ্ঠীর মানুষ এই মুখোশ পরে নাচ করতেন। ঐতিহ্যবাহী সেই মুখোশশিল্পই এখন বালুরঘাটের ভোটের ময়দানে অন্যতম ইস্যু।