পহেলগাঁও হামলার প্রত্যুত্তর, কাশ্মীরে নিকেশ শীর্ষ লস্কর জঙ্গি

15

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৫ এপ্রিল: কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লাল্লি। সেনা সূত্রে শুক্রবার প্রকাশিত খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে জানা গেছে, নিহত আলতাফ লালি কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম কমান্ডার ও রিক্রুটার ছিল। পহেলগাঁও হামলায় তার সরাসরি ভূমিকা ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখছে সেনাবাহিনী।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক সূত্রের খবর, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ লস্কর কমান্ডার আলতাফ পহেলগামের হামলাকারী গোষ্ঠী ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিল। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তান সেনা সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে লস্করের সন্ত্রাসবাদীরা হামলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

বান্দিপোরার কুলনার বাজ়িপোরা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সেনাবাহিনী। সেই সময় গোপনে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা হঠাৎই নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। সেনাও পাল্টা জবাব দেয়। এই গুলির লড়াইয়েই আলতাফ নিহত হয়।

এদিকে, এদিন সকালে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত দুই জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পহেলগাঁও হামলার অন্যতম অভিযুক্ত আসিফ শেখের পুলওয়ামার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় নিরাপত্তাবাহিনী। তবে বাড়িটি ফাঁকা থাকলেও ভিতরে কিছু সন্দেহজনক সামগ্রী দেখে সতর্ক হয় বাহিনী। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরেই ঘটে প্রবল বিস্ফোরণ, যার ফলে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে আসিফের বাড়ি। পাশাপাশি, হামলাকারীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে চিহ্নিত জঙ্গি আদিল ঠোকরের বাড়িও বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে গিয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন পর্যটক। সেই ঘটনার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে সন্ত্রাসবাদ দমনে সেনাবাহিনী আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারত-বিরোধী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

Comments are closed.