খানাকুলে তৃণূমূল বনাম তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতির বৈঠেক শাসকদলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ধুন্ধুমার। মাথা ফাটল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির, আক্রান্ত আরেক সদস্য। কাঠগড়ায় পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তাঁর অনুগামীরা। বোর্ড বৈঠকে সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে দিল প্রশাসন।
হুগলির খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির বৈঠক ঘিরে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত খানাকুল। বৈঠকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস ঘোষকেও মারধর করা হয়। কাঠগড়ায় নইমূল হক ও তাঁর অনুগামীরা।
১৮ জুন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমূল হকের বিরুদ্ধে কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পদত্য়াগ পত্র জমা দেন একাধিক কর্মাধ্যক্ষ। অচলাবস্তা কাটাতে সোমবার বৈঠক ডাকেন খানাকুল ১ ব্লকের বিডিও।
বৈঠকের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। স্থায়ী কমিটি ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দেন সভাপতি ও একাধিক সদস্য়রা। ভোটাভুটিতে ২৫ জন প্রস্তাব সমর্থন করেন। ভেঙে দেওয়া হয় স্থায়ী কমিটি। এর পরই বেধে যায় ধুন্ধুমার। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমূল হকের অনুগামীরা হামলা করে বলে অভিযোগ। গণ্ডগোলের জেরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে বিডিও অফিসে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। অভিযোগ তাঁকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় পুলিশ।
পঞ্চায়েত সমিতির দফতরের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাইরেও। তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে বেঁধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। সংঘর্ষে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পার মাথা ফাটে। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর জমায়েত সরাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ।
খানাকুলের থানা মোড়ে আরামবাগ-গরেরঘাট রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক গোষ্ঠী। নেতৃত্বে ছিলেন নইমূল হক। রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক। শাসকদলের উত্তপ্ত খানাকুলে পিকেট বসিয়ছে পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে RAF।