সন্দেশখালির পাল্টা হিঙ্গলগঞ্জে বিজেপি নেতার ভাইয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণকে হাতিয়ার তৃণমূলের।সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারে আরও বেকায়দায় শাহজাহান। সূ্ত্রের খবর, নতুন করে সিবিআই যুক্ত করতে চলেছে অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক আইনের ধারা। সেই সঙ্গেই বেকায়দায় পড়েছে শাসক দল তৃণমূলও। সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার কে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি কোনও রাজনৈতিক দলই। তাই তার হাত থেকে বাঁচতে তৃণমূলের পালটা দাওয়াই হিঙ্গলগঞ্জে বিজেপি নেতার ভাইয়ের বাড়ি থেকে বিস্ফোরণ উদ্ধারের ঘটনা।
সন্দেশখালিতে বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আসানসোলের সভা থেকে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে অস্ত্র নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে কি না তা কেউ দেখেনি।’ এরপরেই ‘সন্দেশখালি মমতার অপশাসনের জের’ বলে ১দিন পর পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
এই নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ভোটের মধ্যে নাটক করে সন্দেশখালি ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চাইছে বিজেপি।’
সন্দেশখালির পাল্টা হিসেবে তৃণমূল তুলে আনে বহিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জে বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। রবিরার গ্রেফতার হয়েছে বিজেপি নেতার ভাই দিলীপ দাস। সন্দেশখালিতে তদন্তে সিবিআই, আর বসিরহাটে বিস্ফোরণের তদন্তে সিআইডি। সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, ধৃত দিলীপ দাস গত বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থীর ভাই।
মুখ্যমন্ত্রী যখন সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন তখন পাল্টা বিজেপির তরফে বসিরহাটের ঘটনাকে তৃণমূলের চক্রান্ত বলেও দাবি করা হয়েছে। রবিবার ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবি করেন রেখা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার শাহজাহান গড়ে সিবিআই ও এনএসজি-র তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে একগুচ্ছ আগ্নেয়াস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে ৫টি রিভলভার, ২টি পিস্তল। তারমধ্যে ৩টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে ১টি ‘পুলিশ’ রিভলভার, ১টি দেশি রিভলভার। একেকটি আগ্নেয়াস্ত্রের দাম প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকা বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে। ৪৫ ক্যালিবারের ৫০টি বুলেট, ১২০টি নাইন এমএম বুলেট উদ্ধার হয়েছে। এর সঙ্গেই পাওয়া গিয়েছে শাহজাহানের ছবি দেওয়া আইডি কার্ড, কয়েকটি পরিচয়পত্র, সোনার গয়নার ব্যাগ ও বিল।