একই পরিবারের তিন সদস্যই পুলিশে কর্মরত | আর সেই বাড়িতেই রাতের অন্ধকারে ভয়াবহ চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি একই রাতে ওই পুলিশ পরিবারের পাশের আরো একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার উত্তর বকচোরা ১ নম্বর টালি কারখানায় এলাকায়। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবারের অভিযোগ দুষ্কৃতীর দল রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে স্প্রের মত কিছু ছড়িয়েছিল। সে কারণে বাড়িতে থাকা পরিবারের সদস্যরা কেউ টের পাননি।
সূত্র জানা গিয়েছে ওই পরিবারের এক পুলিশ কর্মী রাজ্যের এক মন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষির দায়িত্বে রয়েছে। বাকি দুই সদস্য বনগাঁ পুলিশ জেলায় কর্মরত। রাতে পরিবারের তিন পুলিশ কর্মী সদস্যই বাড়ি ছিলেন না। শনিবার সকালে চুরির খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন তাঁরা। পরিবারের বক্তব্য ,চোরের দল তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আলমারি শোকেস ভেঙে লন্ডভন্ড করে ঘরের জিনিস পত্র। পুলিশ কর্মী শান্তনু দাস জানান, প্রায় ২০০ গ্রাম মতো সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা।আলমারি ভেঙে দুষ্কৃতীরা সব কিছু নিয়ে গিয়েছে।
একই রাতে প্রতিবেশী রাখি বিশ্বাস নামে এক মহিলার বাড়িতে ও চুরির ঘটনা ঘটে।সকালে রাখি দেবি ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন তার বাড়িতেও চোরের দল এসে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। তার দাবি প্রায় ২ লক্ষ টাকার সোনা টাকা পয়সা নিয়ে গিয়েছে। তিনিও গাইঘাটা থানার দারস্থ হয়েছেন|
দুটি ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীরা স্প্রে জাতীয় কিছু ছড়িয়ে এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত গাইঘাটা থানা এলাকার উত্তর বকচরা এক নম্বর টালি কারখানা এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই বেড়েছে বহিরাগত ছেলেদেরও আনাগোনা বেড়েছে। সম্প্রতি গুলি চালানো মারামারি সহ একাধিক ঘটনা ওই এলাকায় ঘটেছে। পর পর চুরির ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।