NET Exam Cancellation: ডার্ক ওয়েবে ফাঁস প্রশ্নপত্র, টেলিগ্রামে বিলি ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে! বলছে সিবিআই
ডার্ক ওয়েবে বিক্রি হয়েছে নেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। ৬ লক্ষ টাকার নাকি বিক্রি হয়েছে সেই প্রশ্ন। সিবিআই সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। গবেষণা এবং কলেজের অ্যাসিসটান্ট প্রফেসর পদের জন্য যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা নেট। প্রত্যেক বছর দুবার জুন এবং ডিসেম্বর মাসে এই পরীক্ষা হয়। কিন্তু এই বছরে পরীক্ষা হওয়ার পরের দিন তা বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সাইবার ক্রাইম বিভাগ থেকে কিছু অসঙ্গতির তথ্য মেলায় বাতিল করা হয় পরীক্ষা। অবিলম্বে কী অসঙ্গতি হয়েছে, এবং দুর্নীতির সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা তদন্তের দায়ভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপরে।
তার পরেই একের পর এক তথ্য সামনে এসেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে যা জানতে পেরেছে তা হল প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় পরীক্ষার দুদিন আগেই রবিবার। প্রশ্নপত্রের ফাঁসের পরেই তা ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করা হয়। ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয় নেট পরীক্ষার প্রশ্ন। ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপে প্রশ্নপত্র ঘুরছিল বলে খবর। যদিও প্রশ্ন কোথা থেকে ফাঁস হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। নেটের প্রস্তুতি করানো হয়, এমন কোচিং সেন্টারগুলির ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
গত মঙ্গলবার ১৮ জুন গোটা দেশে নেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী। কিন্তু তার এক দিন পরেই পরীক্ষা বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, পরীক্ষার আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার নেটের প্রশ্নপত্র ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হয়েছিল। তবে প্রাথমিক ভাবে তদন্তের পর সিবিআই সূত্রে খবর সোমবার নয়, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল রবিবারই। ডার্ক ওয়েবে প্রথম ফাঁস হয় প্রশ্ন পত্র। তারপর সেই প্রশ্নপত্র ৬ লক্ষের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়। ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পৌঁছে যায় ছাত্রছাত্রীদের কাছে বলেই খবর। ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রকের অভিযোগের ভিত্তিতে নেট মামলায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
গত মঙ্গলবার দু’টি অর্ধে নেট পরীক্ষা হয়েছিল ৮৮টি বিষয়ে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা সাইবার ক্রাইম বিভাগের জাতীয় সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট থেকে পাওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষায় বেনিয়মের বিষয়টি নজরে আসে। তার পরেই বুধবার মন্ত্রকের কাছে পরীক্ষা বাতিলের বার্তা সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি গোবিন্দ জয়সওয়াল। নতুন করে আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানা তিনি। ওই বেনিয়ম সংক্রান্ত তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় শিক্ষা মন্ত্রক। এমনকি প্রমাণ পেলে দোষীদের শাস্তি দিতে দ্বিধা বোধ করবে না শিক্ষা দফতর বলেও জানিয়েছেন তিনি।