বর্ষা শুরু হতেই আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বাঁকুড়া জেলাতেও। জেলার হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভিড়। ডেঙ্গি রুখতে ময়দানে নেমেছে আলিপুরদুয়ার পুরসভা। ডেঙ্গি আক্রান্তের অভিযোগ মানতে নারাজ বাঁকুড়া পুরসভা।
আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। এখনও পর্যন্ত এই জেলায় ২০৬ জনের শরীরে ডেঙ্গির সংক্রমণ মিলেছে। আলিপুরদুয়ার পুর এলাকায় ৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। জেলার কালচিনি ব্লকেই ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। ডেঙ্গি রুখতে বুধবার পথে নামে আলিপুরদুয়ার পুরসভা। পুরপ্রধান নিজে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের মতো এ বারও জেলার গ্রামাঞ্চলেই বেশি করে ছড়াচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ। অথচ, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠন না হওয়ায় জেলার গ্রামীণ এলাকার অনেক জায়গাতেই ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ সে অর্থে হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
বাঁকুড়া জেলাতেও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই জেলায় ৮০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ জন। রানিবাঁধ, ছাতনা, ওন্দা ব্লকে এবং বাঁকুড়া পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। জেলার হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়ছে আক্রান্তদের। গত বছর বর্ষায় বাঁকুড়া শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির ব্যাপক প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। ওই একটি ওয়ার্ডেই আক্রান্ত ছাড়িয়েছিল একশোর বেশি। এবার বর্ষার শুরু থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ফের বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গি ও ম্যলেরিয়ার প্রকোপ।
পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগের ভাইরাল জ্বর হলেও লক্ষণ অনুযায়ী ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া, দু’টি পরীক্ষাই করানো হচ্ছে।
ডেঙ্গি রুখতে বাঁকুড়া পুরসভার তরফে শহর জুড়ে চলছে প্রচার। ডেঙ্গি রুখতে প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন হতে হবে বলছেন বাঁকুড়ার সিএমওএইচ। ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দিলে মানুষকে দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাঁকুড়া পুরসভার প্রধান।