খুন, ধর্ষণে অভিযুক্তদের দ্রুত কঠিন ও চরম শাস্তি সুনিশ্চিত করতে অপরাজিতা বিল অবিলম্বে কার্যকর করতে চাইছে সরকার। এই বিল কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাজ্যপালের। রাজ্য সরকার চাইছে, রাজ্যপাল দ্রুত এই বিল সই করে রাষ্ট্রপতিকে পাঠান। বিরোধী দল বিজেপির দাবি, বিল আইনে পরিণত করার দায় রাজ্যের।
আরজি কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির শাস্তির দাবিতে উত্তাল রাজ্য। সাধারণ মানুষের আবেগ ও দাবি মেনে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে অপরাজিতা বিল। বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেই বিল যাবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল সেই বিলে সই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। রাষ্ট্রপতি সই করলে তবেই নতুন আইন কার্যকর হবে। মঙ্গলবার অধিবেশন কক্ষে অপরাজিতা বিল সমর্থন করলেও এই বিল আইনে পরিণত করার দায় রাজ্যের ঘাড়েই ঠেলেছে বিরোধী দল বিজেপি।
বাংলার বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক আদৌ মধুর নয়। যে কারণে বিধানসভায় পাশ হওয়া একাধিক বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে। তাই অপরাজিতা বিল নিয়ে সাবধানী সরকার। পরিষদীয় মন্ত্রী অবশ্য মনে করছেন, এই বিলে রাজ্যপালের সই না করার কোনও কারণ নেই।
বিজেপির অভিযোগ, চলতি আইনে ধর্ষণে দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু প্রমাণ লোপাট করলে কীভাবে শাস্তি হবে।
আরজি কর কাণ্ডের আবহে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অপরাজিতা বিল। রাজ্যপাল সই করলেই এই বিল কার্যকর করার ক্ষেত্রে একধাপ এগোবে। এখন দেখার এই বিল নিয়ে রাজ্যপাল কী ভূমিকা নেন।