সন্দেশখালি নিয়ে বিধানসভায় হট্টগোল। ‘সঙ্গে আছি সন্দেশখালি’ লেখা টি-শার্ট পরে অধিবেশনে ঢুকতেই সাসপেন্ড ৬ বিজেপি বিধায়ক। পরে সন্দেশখালি যেতে গেলে শুভেন্দুদের বাধা পুলিশের। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি পরিদর্শনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
সন্দেশখালি আঁচ এবার বিধানসভায়। বিজেপি বিধায়করা সন্দেশখালি নিয়ে আলোচনা চেয়ে হইহট্টগোল। বিরোধী দলনেতা সহ সাসপেন্ড বিজেপির ৬ বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডল, বঙ্কিম ঘোষ, শংকর ঘোষ।
সাসপেন্ডের পর বিরোধী দলনেতা বলেন, সন্দেশখালির মায়েদের জন্য আমরা সাসপেন্ড হয়েছি। আমদের যত সাসপেন্ড করবে আমরা তত এগোবে।
রাজ্য বাজেট পেশের দিন বিজেপি বিধায়কদের হট্টগোলে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সংসদে সরব হলে বিরোধীদের সাসপেন্ড করলেও বাংলার বিধানসভায় তা হয় না।
কিন্তু সন্দেশখালিতে তেমনটা হল না! হাউসের মধ্যেই কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ, হট্টগোল, ‘সঙ্গে আছি সন্দেশখালি’ লেখা টি-শার্ট পরে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশের কারণে ৬জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। এরপর দুপুর ১টা নাগাদ বিধানসভা থেকে বাসে করে বিজেপি বিধায়করা রওনা দেন সন্দেশখালির দিকে। যদিও যাওয়ার আগেই বিজেপি জানিয়েছিল যেখানে আটকাবে সেখানেই বসে পড়বেন তারা। ধর্মতলা থেকে বাস সায়েন্স সিটি পৌঁছতেই আটকায় পুলিশ। আইনজীবী ও বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির সঙ্গে বচসা শুরু হয় পুলিশের।
সায়েন্স সিটি এলাকায় আটকে বাস। বিধায়কদের সঙ্গে বাসে বসেই প্রশাসন ও পুলিশকে হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার।
মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাওয়ার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের যাচ্ছেন নারায়ণ গোস্বামী ও পার্থ ভৌমিকের।
সন্দেশখালি এখন বিরোধী দলের রাজনীতিকদের কাছে হট ইস্যু। কিন্তু সন্দেশখালি ভালো নেই তা স্পষ্ট বোঝাচ্ছেন সেখানকার মহিলারা। যাকে কেন্দ্র করে এই তুলকালাম সেই শাহজাহানকে কোথায় উত্তর নেই আজও। এদিনও ইডির ডাকে CGO-তে হাজিরা দিল না শাহজাহান।