শীর্ষ আদালতের নজরে দেশজুড়ে মহিলাদের নিরাপত্তা। চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ। আরজি করের নিরাপত্তায় বহাল কেন্দ্রীয় বাহিনী । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুরু আরজি কর মামলার শুনানি। আদালতের তরফে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয় ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়ে।
মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটা নির্দিষ্ট কোনও ঘটনা নয়। আমরা দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চিকিৎসকরা যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন সেই দিকটি নিশ্চিত করা দরকার।”
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, মহিলারা নিরাপদে কাজে যেতে না পারলে, সমাজে সবার অধিকার থাকবে কী ভাবে?
মহিলারা যাতে আরও বেশি করে কাজে যোগদানে উৎসাহ পান, সে দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ প্রধান বিচারপতির। তিনি বলেন, “দেশ আবার একটি ধর্ষণ আর খুনের জন্য অপেক্ষা করবে না, যে তার পর পরিবর্তন হবে।”
এর পরই চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সাত জনের জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। টাস্ক ফোর্স দু’টি বিষয়ে পরিকল্পনা করবে — প্রথমত, নারী পুরুষ নির্বিশেষে চিকিৎসা পেশায় হিংসা রুখতে হবে। দ্বিতীয়ত, নিরাপদ কাজের পরিবেশের জন্য একটি প্রটোকল তৈরি করতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে চিকিৎসা পেশায় হিংসা রুখতে হবে। নিরাপদ কাজের পরিবেশের জন্য একটি প্রটোকল তৈরি করতে হবে।
তবে টাস্ক ফোর্সেই কী সব সমস্যার সমাধান হবে? কী বলছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা?
১৯৯৭ সালে রাজস্থান সরকার বনাম সুপ্রিম কোর্টে প্রথম রূপ পায় বিশাখা গাইডলাইন। কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য়ই কার্যকরী করা হয় এই মি.মাবলি। তবে তারপরেও নারী বিদ্বেষ বেড়েছে দেশের সর্বত্র। এবার টাস্ক ফোর্স। তবে তাতে কী সমস্য়ার সমাধান হবে।