Ministers from Bengal: মোদীর চা চক্রে বাংলার দুই সাংসদ, হতে পারেন মন্ত্রীও
মোদীর মন্ত্রীসভায় জায়গা পেতে চলেছেন বাংলা থেকে দুই সাংসদ। এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও ঘোষণা না হলেও সূত্রের খবর রবিবার সকালে নিজের বাসভবনে এক চা চক্রের আয়োজন করেন নরেন্দ্র মোদী। জল্পনা যারা যারা ঐ চক্রে আহ্বান পেয়েছেন তারাই জায়গা পেতে চলেছে মোদী ৩.০ মন্ত্রীসভায়। বাংলা থেকে চা চক্রে ডাক পেয়ে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে এবারেও পূর্ণমন্ত্রীত্ব পাচ্ছেন না কেউই। দু’জনকেই প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, এবারেও বাংলা থেকে দু’জনকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে জল্পনা ছিল। যদিও এই বারে আগের তুলনায় আসন সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তাই মন্ত্রীসভায় ক’জন সাংসদ জায়গা পাবেন তা নিয়ে খানিকটা সংশয় ছিল। এর আগেও মন্ত্রীসভায় জায়গা পেয়েছেন মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। ২০২১ সালে মন্ত্রীসভায় রদবদলের সময় তাকে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী করা হয়। তবে তাও অঙ্ক কষেই করেছিল বলেই প্রচলিত, কারণ তার আগেই কোভিড অতিমারির সময়ে সিএএ বিল লাঘু করতে কেন দেরী হচ্ছে তা নিয়ে সরব হয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বসেছিলেন শান্তনু। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে মাঠে নামতে হয়েছিল অমিত শাহকে। তারপর ২০২১ সালে শান্তনুকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এখন প্রশ্ন এই বারেও প্রতিমন্ত্রী হয়েই খুশি থাকতে হবে বাঙালিকে নাকি মিলতে পারে পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা। এইবারে সুকান্ত এবং শান্তনুকে বেছে নেওয়ার পিছনেও রাজনীতির অঙ্ক রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শান্তনু মতুয়া সঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি, অর্থাৎ পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিও বটে। আর সিএএ ইস্যুতে রাজ্যে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের বড় ভরসা শান্তনু ঠাকুর। তিনি দক্ষিণবঙ্গের সাংসদ। তাই আরেকজন মন্ত্রী যে উত্তরবঙ্গ থেকে হবে তা বলাই বাহুল্য। কম ব্যবধানে হলেও নিজের কেন্দ্র থেকে জিতে রাজ্য বিজেপির মুখে বাঁচিয়েছেন সুকান্ত। সেই কারণেই এটা তার শান্তনা পুরস্কার বলে মত অনেকের। আবার অনেকের মতে রাজ্যে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ার পরে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই রাজ্যে সাংগাঠনিক পদেও পরিবর্তন আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই। কিন্তু এই মূহুর্তে রাজ্যে বিজেপির যা অবস্থা তাতে দুম করে নেতৃত্বে বদল হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সুকান্তকে মন্ত্রী করলে ‘এক ব্যাক্তি এক পদ’ হিসাবে সুকান্তকে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব থেকেও সরাতে সুবিধা হবে বলেই মত একাংশের।
প্রসঙ্গত, বাংলা থেকে এ বারের মোদী মন্ত্রিসভায় কারা জায়গা পাবেন, তা নিয়ে জল্পনায় তমলুকের জয়ী প্রার্থী তথা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, আলিপুরদুয়ারের জয়ী প্রার্থী মনোজ টিগ্গার নাম শোনা যাচ্ছিল। অনেকেই বলছিলেন, এঁদের কোনও না কোনও মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে সুকান্ত এবং শান্তনু ছাড়া আর কেউ মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন না।