Hollong Bungalow Fire: পর্যটকহীন, বিদ্যুৎবিহীন হলং বাংলোয় কী করে শট সার্কিটের কারণে আগুন লাগলো? উঠছে প্রশ্ন

0 50

গত কাল রাতেই শট সার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ডুয়ার্সের বনভূমির মধ্যে অবস্থিত বন দফতরের হলং বাংলো। হলং বাংলোর সঙ্গে স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুরও। কিন্তু ফাঁকা বাংলোতে কী করে আগুন লাগলো? কারণ জানতে এবার তদন্ত কমিটি গড়লেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাদা হাঁসদা। সূত্রের খবর ওই কমিটিতে থাকবেন মুখ্য বনপাল, ডিএফও বা বিভাগীয় বন আধিকারিক এবং ওই বাংলো যেই এলাকায় অবস্থিত সেখানকার ফরেস্ট রেঞ্জার সহ আরও কয়েকজন। ঐতিহ্যবাহী হলং বাংলোয় অগ্নিকান্ডের পর থেকেই দানা বাঁধছে নানা সম্ভাবনার কথা! কী করে আগুন লাগলো, এই ঘটনা কারোর উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে!

জলদাপাড়ার গভীর জঙ্গলের এই বাংলো জঙ্গল প্রেমীদের অন্যতম প্রিয় ঠিকানা। বাংলোর নিয়ম অনুযায়ী বর্ষার সময় তিন মাস সব রকম বুকিং বন্ধ থাকে। সেই মতোই ১৫ জুন থেকে বন্ধ ছিল বাংলো। তাই মঙ্গলবার যখন অগ্নিকান্ড হয় তখন কোনও পর্যটক ছিল না ওই বাংলোয়। রাত ৯টা নাগাদ আগুন লাগে বলে খবর। বাংলোটি কাঠের তৈরি। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কর্মীরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। ফালাকাটা এবং হাসিমারা থেকে আসে দুটি দমকলের ইঞ্জিনও। তবে দমকল এসে পৌঁছনোর আগে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে সম্পূর্ণ বাংলোটিকে।    

 

আগুন লাগার আগের হলং বাংলো

হলং বাংলোয় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার তথ্য সামনে এসেছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পরভীন কাসোয়ান মঙ্গলবারই জানান সে কথা। বন দফতরেরও একাংশের অনুমান কোনও ভাবে এসিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। এসিতে গ্যাস থাকে, তার কারণে বিস্ফোরণ হয়ে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রথম কথা হল ১৫ জুন থেকে বাংলো পর্যটক শূন্য। তার মানে বাংলোর এসি চলার কথা নয়। এসি বা গিজার না চললে শট সার্কিট হল কী ভাবে? তবে অন্য কোনও কারণে শট সার্কিট হয়েছে যদি ধরে নেওয়া হয়, তাহলেও সূত্রের খবর যে সময় অগ্নিকান্ড ঘটে তখন নাকি বিদ্যুৎ ছিল না। তা হলে বিদ্যুৎবিহীন বাংলোয় কী ভাবে শট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে তাতেও উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় তাই অন্তর্ঘাতের তথ্য উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ডুয়ার্সের জয়ন্তী বাংলো একই ভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, পড়ে সেই জায়গায় বিলাসবহুল একটি বাংলো তৈরি হয়েছিল। আর তাই সেই একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি কিনা তা নিয়েও দানা বাঁধছে রহস্য। যদিও উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এক সময়ের রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর খুব প্রিয় ছিল এই বাংলো। বছরে একবার নাতনিকে নিয়ে নাকি এখানে ছুটি কাটাতে যেতেই হবে তাঁকে। কিন্তু সেই সব স্মৃতি এখন অগ্নিগর্ভে। অগ্নিকান্ডের পিছনে আদপে কী কারণ? সত্যি সামনে আসবে কি? উঠছে প্রশ্ন!

Leave A Reply

Your email address will not be published.