বিরাট কোহলির পদত্যাগের পরে অধিনায়ক হতেই চাননি রোহিত শর্মা। এক বছরের মধ্যে এই নিয়ে দুবার আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। দুবারেই নেতৃত্বে ‘হিট ম্যান’ রোহিত শর্মা। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে রোহিত ব্রিগেড। প্রথমবার অপরাজিত হয়েই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারতীয় দল। সেমিফাইনাল এবং তাঁর আগে সুপার-৮ পর্যায়ে রোহিতের দুটি অধিনায়কচিত ইনিংসের স্বাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে গোটা টিম তো বটেই তবে অধিনায়ক হিসাবে রোহিতের ভূমিকা বেশ গুরুতবপূর্ণ। কিন্তু শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব নিতে নাকি রাজিই ছিলেন না রোহিত। তখন বোর্ড সভাপতি ছিলেন সৌরভ, কী ভাবে রোহিতকে রাজি করিয়েছিলেন তিনি? জানিয়েছেন সেই কথাও।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান সেই ঘটনা। সৌরভ বলেন, ‘অপরাজিত অবস্থায় দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছনো থেকেই বোঝা যায় ও কেমন অধিনায়ক এবং ওর নেতৃত্বের ধরন কেমন। আমি একটুও অবাক হইনি। ও যখন অধিনায়ক হল তখন আমি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। তখনও বিরাট কোনও মতেই অধিনায়ক থাকতে চাইছিল না।‘
এরপরেই কী ভাবে রোহিতকে রাজি করিয়েছিলেন সৌরভ সেই কথা জানান। তিনি বলেন ‘ওকে অধিনায়ক হওয়ার জন্য রাজি করাতে অনেক সময় লেগেছিল, কারণ অধিনায়ক হওয়ার জন্য ও একদম তৈরি ছিল না। আমরা সবাই ওকে অনেক বুঝিয়েছিলাম, অনেকবার বলার পর ও অধিনায়ক হয়। আমি খুব খুশি যে ভারতীয় দল ওর নেতৃত্বে অনেক এগিয়েছে।’
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসাবে পাঁচটি আইপিএল জিতেছেন রোহিত। তবু এইবারে আইপিএলের আগেই তাঁর জায়গায় অধিনায়ক করা হয় হার্দিক পান্ডিয়াকে। সেই নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। যদিও আজ রোহিত-হার্দিক একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের জার্সি গায়ে লড়াই করছে। তবে আইপিএলের সেই প্রসঙ্গ টেনে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘রোহিতকে নিয়ে খুব খুশি। জীবনের একটি বৃত্ত সম্পন্ন হল ওর। ছ’মাস আগে রোহিত মুম্বইয়ের অধিনায়ক পদ হারিয়েছে। এখন সেই রোহিতের নেতৃত্বেই ভারত অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে!’
ফাইনালে ভারতের জয় নিয়েও আশাবাদী সৌরভ বলেন, ‘মনে হয় না সাত মাসের মধ্যে আর একটা বিশ্বকাপের ফাইনালে হারবে। আমি নিশ্চিত রোহিত বার্বাডোজের সমুদ্রে ঝাঁপ দেবে। ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। দারুণ ব্যাট করেছে। আশা করি কালও সেটাই করবে। গোটা দলের উচিত খোলা মনে খেলা।’
গত বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে নক আউট বা ফাইনালে গেলেও শেষ পর্যন্ত ট্রফি ঘরে আনতে পারেনি ভারতীয় দল। শেষ জয় ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তাই খানিকটা উদ্বেগে রয়েছেন কেউ কেউ। এইবারে শেষ রক্ষা হবে তো? তবে সে সব কথায় আমল দিতে নারাজ সৌরভ অবশ্য বলেন ‘আমি অন্য আঙ্গিকে বিষয়টা দেখছি। ফাইনালে তো আমরা উঠেছি। ভারত বিদায় নিচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, ওরা দাপটের সঙ্গে খেলছে। সাত মাস আগে বিশ্বকাপেও সেটা দেখেছেন। প্রতিযোগিতার সেরা দল ছিল। সে যতই ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারুক।’