মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় প্রথম বৈঠক সিটের

4

মুর্শিদাবাদে হওয়া হিংসার তদন্তের জন্য গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) তাদের প্রথম বৈঠক করেছে। এই বৈঠকে, এডিজি (দক্ষিণ বেঙ্গল) সুপ্রতিম সরকার এবং এসআইটি-র অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মূলত ঘটনার তদন্ত কিভাবে করা হবে, তার রূপরেখা তৈরি করা হয়।

তদন্তের প্রধান বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে বিক্ষোভের পরে কিভাবে এত দ্রুত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ল। এসআইটি-র কিছু সদস্য মনে করেন যে, এই সহিংসতা আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল । তদন্তকারীরা এখন ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে এবং গ্রেপ্তার হওয়া নাবালকদেরকাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।

এই বিশেষ তদন্তকারী দলে জাঙ্গিপুর, সুতি , সামশেরগঞ্জ এবং ফারাক্কার পুলিশ অফিসার সহ ২০ জন সদস্য রয়েছেন। তারা ঘটনার পরম্পরা সাজানোর চেষ্টা করছেন, অর্থাৎ কিভাবে ঘটনা ঘটেছে, কারা এর জন্য দায়ী, এবং কিভাবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়।

জangiপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় [আনন্দ রায়] জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে [ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধার], তবে ১৪৪ ধারা এখনও জারি রয়েছে। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী [কেন্দ্রীয় বাহিনী] যৌথভাবে কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

এডিজি (আইন ও শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিমহুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। তার এই হুঁশিয়ারির পরে, একটি জোড়া খুনের মামলায় [জোড়া খুনের মামলা] দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসআইটি খুব শীঘ্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। ধুলিয়ান [ধুলিয়ান] এবং সুতিতে জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, তবে সামশেরগঞ্জের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে এবং রাস্তায় যানবাহন চলাচল করছে।

Comments are closed.