ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল: পহেলগাঁও হামলার পর পুরো কাশ্মীরজুড়ে জোরদার সেনা অভিযান চালানো হচ্ছে। উপত্যকার নানা প্রান্তে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। টার্গেট করে ধ্বংস করা হচ্ছে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল ও ঘাঁটি। এই অভিযানের সর্বশেষ লক্ষ্য হয়েছে পাকিস্তানে পলায়নকারী লস্কর জঙ্গি ফারুক আহমেদের বাড়ি।
শনিবার গভীর রাত থেকে কাশ্মীরের ছয়টি স্থানে একযোগে অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, সোপিয়ান ও কুলগাওয়ের বিভিন্ন এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান। এই অভিযানের মাঝেই কুপওয়ারাতে লস্কর জঙ্গি ফারুক আহমেদের বাড়ি ধ্বংস করে সেনা। তবে ফারুককে ধরা সম্ভব হয়নি, কারণ সে ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। গত পাঁচ দিনে এ নিয়ে অন্তত ৯ জন জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
শনিবার সকালে কুলগাম জেলায় দুই জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় সেনাবাহিনী। ওই দুই জঙ্গির দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেই, বৃহস্পতিবার পহেলগাঁও হামলার অন্যতম চক্রী আসিফ শেখ এবং আদল ঠোকরের বাড়ি ধ্বংস করা হয়। শুক্রবার পুলওয়ামায় জঙ্গি আহমসান আল হক শেখের বাড়িও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। একইভাবে, সোপিয়ানের চোটিপোরায় শাহিদ আহমেদ কুট্টে এবং কুলগামের জাহিদ আহমেদ গনির বাড়িও গুঁড়িয়ে দেয় সেনা। সূত্রের খবর, সেনা ও পুলিশের তৈরি ১৪ জন স্থানীয় জঙ্গির তালিকায় এরা রয়েছে। তালিকাভুক্ত বাকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত প্রশাসন ও সেনাবাহিনী।
এদিকে, রবিবারও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। পহেলগাঁও হামলার পর শিমলা চুক্তি অমান্যের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর থেকেই লাগাতার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। রবিবার সকালেও সীমান্তের ওপার থেকে গুলিবর্ষণ হয়, যার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। তবে এই গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
Comments are closed.