SC ON CITIZENSHIP ACT : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর অসমে আসা বিদেশিরা অনুপ্রবেশকারী! নাগরিকত্ব আইনের ৬-এর এ ধারা বহাল রেখে রায় সুপ্রিম কোর্টের। এর ফলে উপকৃত হবেন ১৯৬৬ থেকে ৭১ এর মধ্যে অসমে আসা ২০ লাখ বাঙালি।
অসমের নাগরিকত্ব নিয়ে বড় রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর অসমে আসা ভিনদেশীদের এবার থেকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে। আইন মেনে তাদের ফেরত পাঠানো যাবে নিজেদের দেশে। বৃহস্পতিবার, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চের ৪ জনই এই রায় দিলেন।
অসমে দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৯৮৫ সালে ভারত সরকারের সঙ্গে আন্দোলকারীদের অসম চুক্তি হয়
রাজীব জমানায় সেই চুক্তিতে আসে নতুন আইন।
অসম চুক্তির ভিত্তিতেই নাগরিকত্ব আইনে যুক্ত হয় ৬এ ধারা। এই ধারা অনুসারে, ১৯৬৬-র ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসমে আসা বাংলাদেশিরা নাগরিত্ব পাবেন। এই আইন সংবিধানের মূল সুরের পরিপন্থী বলে পাল্টা মামলা। সেই মামলাতেই আইনের বৈধতার পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি বলেন, অসমে অনুপ্রবেশ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান অসম-চুক্তি এবং এই সমস্যার আইনি সমাধান নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা। অসমে বাংলাদেশ সীমান্ত অন্য রাজ্যের থেকে বেশি
ছোট রাজ্য হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে ৫৭ লাখ থেকে অসমে ৪০ লাখ অভিবাসীর প্রভাব বেশি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা মাথায় রাখলে মার্চ ২৫, ১৯৭১ এর সময়সীমাও যুক্তিপূর্ণ।
বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ২৫ মার্চ ১৯৭১-এর পর অসমে আসা বিদেশিরা অনুপ্রবেশকারী তাদের চিহ্নিত করে নিজের দেশে ফেরত পাঠানো যাবে। ১ জানুয়ারি ১৯৬৬-২৫ মার্চ ১৯৭১-এর মধ্যে অসমে আসা বিদেশিরা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন।
বাকি ৪ বিচারপতির সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি বিচারপতি পার্দিওয়ালা। তাঁর মতে, সময়ের সঙ্গে এই আইন যুক্তিগ্রাহ্যতা হারিয়েছে।
২০১৯ সালে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা NRC চালু হয় অসমে। গত কয়েক বছরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে NRC নিয়ে। ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তি এবাং নাগরিকত্ব আইনের ৬ এ ধারাতে ভিত্তি করেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার NRC-র ভিত্তিকেই বজায় রাখল শীর্ষ আদালত।