নিউজ ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর : ফের অগ্নিগর্ভ মায়ানমার। বিদ্রোহী জোট ও জুন্টা সেনার সংঘর্ষের জেরে মায়ানমার ছেড়ে পালাচ্ছেন আতঙ্কিত মানুষ। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত টপকে মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার শরণার্থী।
বিদ্রোহীদের দখলে ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রাম। মায়ানমারের চিন প্রদেশে শুরু হয়েছে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। একাধিক জঙ্গি সংগঠনের বিদ্রোহী জোট ব্রাদার্সহুড অ্যালায়েন্সের হামলায় পিছু হাটছে মায়ানমার সেনা। সোমবার দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জঙ্গিরা দখল করে রিখাওদর ও খাওমাওয়ি সেনা শিবির। দুটি সেনা শিবির জ্বালিয়ে দেয় জঙ্গিরা।
জঙ্গিদের হামলার হাত থেকে বাঁচতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে ৪৩ সেনা। মিজোরাম পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ মায়ানমার সেনার। মঙ্গলবার সকালে আত্মসমর্পণকারী ৪৩ সেনা জওয়ানকে হেলিকপ্টারে মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দেয় আসাম রাইফেলস।
নতুন করে সংঘর্ষ বাঁধায় মায়ানমারের চিন প্রদেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে মায়ানমারে থেকে মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। শরণার্থীদের মধ্যে জখম ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন জখম শরণার্থীদের মধ্যে একজনের মৃত্যু। সীমান্তবর্তী চাম্পাই জেলায় খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির।
গত অক্টোবরে মায়ানমারের তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, আরাকান আর্মি এবং মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করে। ইতিমধ্যেই উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের শান এবং সাগিয়াং প্রদেশের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। মায়ানমার-চিন প্রধান সড়কও বিদ্রোহীদের দখলে। বর্তমানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়েছে পশ্চিমের চিন প্রদেশে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পশ্চিম চিন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে চলা লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে দুই বিদ্রোহী সংগঠন ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ ও চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স। ফলে পশ্চিম চিনের অধিকাংশ এলাকাও বিদ্রোহীদের দখলে চলে যায়। এদিকে, মায়ানমারের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে মিজোরাম, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি আরও কঠোর করে তোলা হয়েছে।