কাউন্টডাউন শুরু। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টার। তারপরই অযোধ্যায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে চলেছে রামলালার। ইতিমধ্যেই গোটা দেশ তথা অযোধ্যার সঙ্গে সেজে উঠেছে মন্দির। ফুলে ফুলে ঢেকে গেছে মন্দিরের বাইরের গেট থেকে লতা মঙ্গেশকর চক, অযোধ্যার সমস্ত রাস্তা। মন্দিরের গেট শিশু রামের বিভিন্ন কাটআউট আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। সর্বত্রই শুধু গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধার সারি। মন্দিরের চূরা সাজানো হচ্ছে ফুল দিয়ে। মূল মন্দিরের পাশাপাশি অন্য মন্দিরগুলিকেও ঢেকে ফেলা হয়েছে ফুলে। অযোধ্যার রাস্তা থেকে সমস্ত দোকান, বাড়ির দেওয়ালে লেখা জয় শ্রীরাম। রাস্তার মাঝখানের বাতিগুলিতেও লাগানো হয়েছে রামের কাটআউট।
শিশুর রামের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে গেট। দেশের সব রাজ্য থেকেই আসছে মিষ্টি। হায়দরাবাদ থেকে এসে পৌঁছল প্রায় তেরোশো কিলোর লাড্ডু। আসছেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। অযোধ্যা কার্যত মিনি ভারত। সজাগ রয়েছে প্রশাসন। দফায় দফায় খোঁজ নিচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ।
এদিকে অযোধ্যাজুড়ে রয়েছে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। সরযূপাড়ে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোড়ে মোড়ে কড়া নজরদারি। রয়েছে সিসিটিভি। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্যাকে। শুধুমাত্র মন্দির প্রাঙ্গনই নয়, অযোধ্যার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে রেলস্টেশন, বিমানবন্দর এমনকি ফেরিঘাটগুলিতেও মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কোটি মানুষের সমাগম হচ্ছে রামলালাকে দেখতে অযোধ্যায়। তাই যেকোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সজাগ রয়েছে প্রশাসন। সমস্ত রাস্তা, গলি থেকে রাজপথে বসানো হয়েছে সিসিটিভি। ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। রবিবার থেকে অযোধ্যায় বাহন প্রবেশে প্রবল কড়াকড়ি শুরু হতে চলেছে। রবিবার থেকে মন্দির চত্বরের নিরাপত্তার ভার চলে যাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ-এর হাতে।