লালকৃষ্ণ আডবাণীর পর এবার ভারতরত্নের তালিকায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমহা রাও, চৌধুরী চরণ সিং এবং সবুজ বিপ্লবের জনক তথা কৃষিবিজ্ঞানী ড. এম এস স্বামীনাথন। ভারতরত্ন তালিকা তৈরিতে লোকসভার আগে ‘জাতিবন্ধু’ কৃষক, এবং দক্ষিণ ভারতকে জুড়তে কৌশলী পদক্ষেপ মোদী সরকারের।
লোকসভার আগে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। ভারতরত্ন পাচ্ছেন দেশের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও সবুজ বিপ্লবের পথিকৃৎ। মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত নরসিমহা রাওয়ের প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “পি ভি নরসিমহা রাওয়ের দূরদর্শী নেতৃত্ব ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। দেশের উন্নতি ও সম্মৃদ্ধির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছিলেন তিনি। বিশিষ্ট পণ্ডিত ও রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে নরসিমহা রাও ভারতকে নানা দিক থেকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদ হিসাবে তাঁর কাজ সর্বদা মনে রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই ভারত বিশ্বমঞ্চে পৌঁছতে পেরেছিল। পাশাপাশি দেশের বিদেশ নীতি, ভাষা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর অবদান শুধুমাত্র ভারতকে কঠিন ও জটিল পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে সাহায্য়ই করেনি, একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও সমৃদ্ধ করেছে।“
অবিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও। ১৯৯১-১৯৯৬ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরেই দায়িত্বে আসেন রাও। তিনি ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য বিশেষ পরিচিত। বিশ্বব্যাপী ভারতের বাজার অর্থনীতির প্রসার। কংগ্রেসের ‘একনিষ্ঠ সেনা’। স্বাধীনতা আন্দোলনেও যুক্ত।
কেবল নরসিমহা রাও নন, ভারতরত্ন পাচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং। এক্স হ্যান্ডেলে নমো লেখেন, “এটা আমাদের সরকারের সৌভাগ্য যে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিং-কে ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত করতে পারছে। উনি নিজের গোটা জীবন কৃষকদের অধিকার ও উন্নতির লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীই হোক বা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা বিধায়ক হিসাবে তিনি দেশ গড়তে বরাবরই অবদান রেখেছেন।”
কৃষকবন্ধু চৌধুরী চরণ সিং। ভারতবর্ষের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৯-১৯৮০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সুলেখক হিসেবে প্রসিদ্ধ তিনি।
ভারতরত্ন পেতে চলেছেন সবুজ বিপ্লবের পথিকৃৎ এম এস স্বামীনাথন। জাতির বন্ধু কৃষক। চৌধুরী চরণ সিং ও এম এস স্বামীনাথনকে ভারতরত্ন প্রদানে কার্যত দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে জনমানসকে জুড়ল মোদী সরকার। পাশাপাশি, অবিজেপি দুই নেতৃত্বকে সম্মান প্রদানে মোদী সরকারের বার্তা স্পষ্ট, দল নয়, কাজ বড়।