ভূমিধসে বিধ্বস্ত ওয়েনাড় আকাশপথে পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আকাশপথে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর ত্রাণ শিবিরে গিয়ে পীড়িতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালেও যান প্রধানমন্ত্রী। বিপর্যয় মোকাবিলায় এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুহাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের দাবি করেছে কেরল সরকার। টারার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ আটকে থাকবে না। আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর।
তিরিশে জুলাই। ভূমিধসে মুখে গিয়েছে ওয়েনাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কাদা-মাটির তলায় চাপা পড়ে কয়েকশো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অসুস্থ হয়ে বহু মানুষ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ত্রাণ শিবিরেও রয়েছেন বহু মানুষ। ঘটনার এগারোদিন বাদে ওয়েনাডে পরিদর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বায়ুসেনার বিমানে শনিবার বেলা এগারোটায় দিল্লি থেকে কেরালার কান্নুরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কান্নুর থেকে হেলিকপ্টারে ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
হেলিকপ্টারে পর্যবেক্ষণ শেষ করে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন ওয়েনাড়ের ত্রাণশিবিরে। শিবিরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। ত্রাণশিবির পরিদর্শনের পর হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। ভূমিধসে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আগাগোড়া তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল মহম্মদ আরিফ খান ও কেরালার সাংসদ সুরেশ গোপী। পরে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন কেরল সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুহাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী জানান, টাকার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলার কোনও কাজ আটকে থাকবে না।
শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর ওয়েনাড় সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। পরিদর্শনের পর ওয়েনাডের ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করবেন বলে এক্স হ্যান্ডেলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ওয়েনাড় পরিদর্শনকে স্বাগত জানালেও এদিন মণিপুরে কেন তিনি যাচ্ছেন না তা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি কংগ্রেস।