বাগুইআটিতে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে ‘খুন’, কাঠগড়ায় দেবরাজ চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠরা! আটক ১৩

0 24

খাস কলকাতার বুকে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে খুন। শাসক দল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে খুন বলে অভিযোগ। শনিবার রাত থেকে উত্তপ্ত বাগুইহাটির অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকা। দফায় দফায় সংঘর্ষ ইট বৃষ্টি। এই ঘটনায় আহত হয় বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে খানিকটা প্রশমিত হয়। তারপর পুলিশ চলে গেলে পুনরায় এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এরপরেই সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা ইটের আঘাতে আহত হয়। তারপরেই তাকে টেনে নিয়ে এসে রাস্তায় ফেলে রড লাঠি দিয়ে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বাগুইহাটি এলাকায়। ঘটনাস্থলে বাগুইআটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী যায়। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিত আরো জটিল হলে পুলিশকে র‍্যাফ নামাতে হয়। এরপরেই পুলিশি আশ্বাসে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট  বসানো  হয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে বিধাননগর পৌরসভার মেয়র পারিষদ, দেবরাজ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠদের দিকে। জড়িত রয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর দাবি মৃতের কন্যার। অসহযোগীতার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেও। অসন্তুষ্ট এলাকাবাসি। অভিযোগ প্রথমবার ঝামেলার সময় থানার বড়বাবুকে ফোন করেছিলেন নিহতের পরিবারের লোকজন। কিন্তু সেই সময় কেবল ৩ জন সিভিক ভলিন্টিয়ারকে পাঠিয়ে দেন তিনি। তাঁরা আসায় ক্ষনিকের জন্য পরিস্থিতি শান্ত হলেও তাঁরা চলে গেলে এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয় তৃণমূল কর্মী সঞ্জীব দাসকে। তারপর তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিহতের কন্যার দাবি রাত আড়াইতে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। তখন ফোন করা হয়েছিল মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী, এবং স্থানীয় কাউন্সিলর সুপর্ণা ঘোষকে। কিন্তু ফোন করলেও তাদের তরফ থেকে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। পুলিশ এলে তাদের ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয়রা। এমনকি ব্যবস্থা না নিলে থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।  

এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে ১৩ জনকে। দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ভোটের মুখে এই ঘটনায় কি নতুন করে চিন্তিত শাসক দল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসীরা। এরপর মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী মৃতের পরিবারকে ফোন করলে ‘একটাও ভোট পাবেন না’ বলে ক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। দেবরাজের দাবি পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে, দোষীরা দ্রুত শাস্তি পাবে।    

Leave A Reply

Your email address will not be published.