ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঘরছাড়া হয়েছে কয়েকশো মানুষ, সঙ্গে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থাও। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, উরি বাঁধ থেকে কোনও পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বিতস্তা নদীর জল ছেড়েছে ভারত। এই ঘটনাকে তারা ‘জল সন্ত্রাস’ বলেও আখ্যা দিয়েছে।
পহেলগাঁওয়ের জেহাদি হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি। হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের মদত রয়েছে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ‘বদলা’ হিসেবে আপাতত সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে ভারত। ওই চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল— কোনও বাঁধ থেকে জল ছাড়ার আগে নির্দিষ্ট সময় আগে পাকিস্তানকে জানাতে হবে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। চুক্তি বাতিলের পর শনিবার রাতে হঠাৎ করেই বিতস্তা নদীতে জলস্তর বাড়তে শুরু করে।
অনন্তনাগের ভেরিনাগ এলাকায় উৎপত্তি বিতস্তা বা ঝিলম নদীর। সেখান থেকে এটি জম্মু-কাশ্মীর পেরিয়ে প্রবেশ করেছে পাকিস্তানে। শনিবার রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠি এলাকায় হঠাৎ করেই নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করে। বিতস্তা নদীর তীরে অবস্থিত হাট্টিয়ান বালা জেলা, যা মুজফফরাবাদ থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে। রাতেই স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে ঘোষণা করা হয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নদীর তীরবর্তী এলাকা খালি করে সরে যেতে হবে। এই ঘোষণা শোনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। অভিযোগ, বহু মানুষ ঘর থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও নিতে পারেননি— প্রাণ বাঁচাতেই তড়িঘড়ি ঘর ছেড়ে পালাতে হয়েছে তাদের।
বিতস্তা বা ঝিলম নদীর উৎপত্তি অনন্তনাগের ভেরিনাগ এলাকায়। সেখান থেকে নদীটি জম্মু-কাশ্মীর পেরিয়ে প্রবেশ করেছে পাকিস্তানে। শনিবার রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠি এলাকায় আচমকা নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়তে শুরু করে। নদীর তীরে অবস্থিত হাট্টিয়ান বালা জেলা, যা মুজফফরাবাদ শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে। পরিস্থিতির জেরে রাতেই স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে জানানো হয়, নদীর পাশের এলাকা দ্রুত খালি করে দিতে হবে। এই ঘোষণার পর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। অভিযোগ, অনেকে সময় পাননি ঘর থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস তোলারও— প্রাণ বাঁচাতে তড়িঘড়ি ঘর ছেড়ে পালাতে হয় তাদের।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জলনিয়ন্ত্রণের দিক থেকে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম ভারত। এর অন্যতম কারণ, ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ভারত-পাকিস্তান সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এই চুক্তির আওতাভুক্ত নদীগুলি ভারতের দিক থেকেই পাকিস্তানে প্রবাহিত। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের অধীনে রয়েছে সিন্ধুর পূর্ব দিকের তিন উপনদী— বিপাশা (বিয়াস), শতদ্রু (সাটলেজ) এবং ইরাবতী (রাভি)। অন্যদিকে, সিন্ধু এবং তার দুই প্রধান উপনদী— বিতস্তা (ঝিলম) ও চন্দ্রভাগা (চেনাব)-এর জল ব্যবহারের অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। এই প্রেক্ষাপটেই এবার ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে পাকিস্তান।
Comments are closed.