বুদ্ধ জন্মজয়ন্তীতে শান্তি কামনায় শোভাযাত্রা জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে! দেশবাসীকে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
গোটা দেশের সঙ্গেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই তুমুল ব্যস্ততা। ব্যস্ততা বুদ্ধ পূর্নিমাকে ঘিরে। রাজ্যের নানা জায়গায় মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে বুদ্ধ পূর্ণিমা। কথিত বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে জন্ম, জ্ঞানার্জন এবং মুক্তি লাভ করেন ভগবান বুদ্ধ। তাই এই দিন বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাতেও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হল সেই বুদ্ধ পূর্ণিমা। গৌতম বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালিত হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, গৌতম বুদ্ধকে ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পড়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা। এ বছর যা পালিত হচ্ছে ৫ মে অর্থাৎ আজ, শুক্রবার। বুদ্ধ পূর্ণিমা, বৈশাখ পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। সারা বিশ্বে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই উৎসব। এই শুভ দিনটি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধের জন্ম, জ্ঞানার্জন এবং মৃত্যুকে চিহ্নিত করে এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বারা অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করা হয়।
সমগ্র বিশ্বের মঙ্গল এবং শান্তি কামনায় আজ বুদ্ধ জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে দিকে দিকে। পিছিয়ে নেই জলপাইগুড়িও। এই শহরেই রয়েছে বৌদ্ধদের উপাসনাস্থল ডেছিং ছেরিং গুম্ফা। শুক্রবার বৌদ্ধ পূর্ণিমার সকাল থেকেই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের পবিত্র ত্রিপিঠক পাঠের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে ভগবান বুদ্ধের দুহাজার পাঁচশো সাতষট্টিতম জন্মজযন্তী পালন উৎসব। এই উপলক্ষ্যে একদিকে যেমন সেজে উঠেছে গুম্ফা সংলগ্ন এলাকা সহ গুম্ফার অন্দরমহল, এর পাশাপাশি শুক্রবার পবিত্র ত্রিপিঠক নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শান্তির বাণী প্রচার করে ফিরে আসে উপাসনাস্থলে। জলপাইগুড়ির পাশাপাশি বাগডোগরা দারাগাওয়ের বুদ্ধমন্দির থেকেও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আশপাশের অঞ্চল প্রদক্ষিণ করে। এই শোভাযাত্রায় বৌদ্ধ লামাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
কেবল জলপাইগুড়ি নয় কোচবিহার শহরেও পালিত হল বুদ্ধ পূর্ণিমা। এদিন শহরের খালাসী-পট্টি থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এখানকার বুদ্ধ পূর্ণিমার এই পুজো এবার তৃতীয় বর্ষের পদার্পণ করল। ৪ দিনব্যাপী এই পুজোর অন্ত পরবে আজ। এখানেও পুজো শেষে ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। তারপর পুজোর মূল প্রসাদ ফাক চুক বিতরণ করা হয়।
বুদ্ধপূর্ণিমার পুণ্য মুহূর্তে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি টুইট বার্তায় তিনি লেখেন – বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা। ভগবান বুদ্ধের আদর্শ আমাদের সকলকে আলো ও শক্তি প্রদান করতে থাকুক। টুইট বার্তায় যে ভিডিও তিনি শেয়ার করেছেন তাতে ভাষ্যপাঠ করেছেন মোদী নিজেই।
বলা হয় যে, গৌতম বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা – তাঁর জন্ম, জ্ঞানার্জন এবং মুক্তি – বছরের একই দিনে ঘটে। ভগবান বুদ্ধ বিশ্ব জুড়ে শান্তির বাণী প্রচার করেছিলেন। তাই, এই বিশেষ দিনে বিশ্ব শান্তির উদ্দেশ্যেই পুজা পাঠ করা হয়। এই ঘটনার কারণে বৌদ্ধ ধর্মে আজকের দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।