Narendra Modi: তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েই কৃষকদের বকেয়া টাকা দিতে সই মোদীর, বিরোধীদের দাবি সবটাই নাটক
তৃতীয়বার মসনদে বসেই বড় সিদ্ধান্ত মোদীর। কৃষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েই যেন শুরু করলেন নিজের তৃতীয় ইনিংস। ইতিমধ্যেই পিএম কিসান নিধির ফাইলে মোদীর সই করার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। কিসান নিধির কিস্তির বকেয়া টাকা মেটানোর জন্য সই করেছেন মোদী। এই প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি ৩০ লক্ষ কৃষক পরিবারের বকেয়া টাকা মেটাতে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্রাদ্দ কড়া হয়েছে। এই টাকা পেলে কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কিসান নিধির আওতায় ১৭তম কিস্তির টাকা পাবে। সই করার পরে মোদী বলেন, ‘আমাদের সরকার কৃষকদের কল্যাণে দায়বদ্ধ। দায়িত্ব নিয়েই কৃষকদের কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত ফাইলে স্বাক্ষর করলাম। আগামী দিনে আমি কৃষক এবং দেশের কৃষিক্ষেত্রের জন্য আরও বেশি কাজ করে যেতে চাই।‘
কেবল কিসান নিধির কিস্তির বকেয়া মেটানোই নয়, আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী সরকার ৩.০। এইদিন প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনে ক্যাবিনেট বৈঠকে ঠিক হয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে আরও ৩ কোটি বাড়ি নির্মাণ করে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার, গ্রাম-শহর মিলিয়ে সারা দেশে সাধারণ মানুষের মাথায় পাকা ছাদের ব্যবস্থা করতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে নতুন সরকার। এমনকি ঐ ৩ কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের কানেকশন দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকেই। বসানো হবে জলের কল। অর্থাৎ আলো, জল, গ্যাস কোনও কিছুর অসুবিধা থাকবে না বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু মোদীর এই ঘোষণার পরেই আসরে নেমেছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, মমতা আগেই তৃণমূলের ৫ সাংসদের দলকে পঞ্জাবে পাঠিয়েছিলেন আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে। নিজেও ফোনে কথা বলেন কৃষক নেতার সঙ্গে। নতুন সরকার গঠন করেই যখন প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের বকেয়া টাকা মেটানোর জন্য উদ্যোগী তখন পঞ্জাবে আন্দোলনরত কৃষকদের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর কিসান নিধির কিস্তির টাকা অনেক আগেই দেওয়ার কথা ছিল। এই টাকা তাঁদের ন্যায্য বকেয়া। প্রধানমন্ত্রী ভোটের পরে দরদ দেখাবেন বলে টাকা আটকে রেখেছিলেন। এখন ঢাকঢোল পিটিয়ে সেই টাকাই দিচ্ছেন।
মোদীর কিসান নিধির বকেয়া টাকা বন্টনের ফাইলে সই করার ছবির প্রকাশ্যে আসতেই আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেসও, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ তাঁর এক্স মাধ্যমে লেখেন, ‘কিসান নিধির ১৬তম কিস্তিটি দেওয়ার কথা ছিল এই বছর জানুয়ারি মাসে। তা দিতে এক মাস দেরী করা হয়। আর এই ১৭তম কিস্তিটি দেওয়ার কথা ছিল এপ্রিল-মে মাসে। কিন্তু নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হয়ে যাওয়ার জন্য তা দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এই ফাইলে সই করে কাউকে কৃতার্থ করছেন না। সরকারের নীতি অনুযায়ী এটা ইতিমধ্যেই কৃষকদের প্রাপ্য। রুটিন প্রশাসনিক কাজগুলিকে মহৎ দান হিসাবে দেখানোটা তাঁর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। যদিও তিনি নিজেকে নশ্বর মানুষ বলে মনে করেন না, মনে করেন তিনি দৈবশক্তির আধার।‘
তিনি আরও লেখেন, ‘মোদী যদি সত্যিই কৃষকদের কল্যাণ চান তা হলে পাঁচটি কাজ তিনি করবেন। স্বামীনাথন সূত্র মেনে কৃষকদের শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি নিশ্চিত করবেন। কৃষি ঋণ মকুবের জন্য স্থায়ী কমিশন গঠন করবেন। ফসল বিমা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষক সমাজের সঙ্গে কথা বলে, নতুন আমদানি-রফতানি নীতি গঠন করতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে জিএসটি রদ করতে হবে।’