কথায় আছে ভাগের মা গঙ্গা পায় না। ঝাড়গ্রামের পচাখালি গ্রামের অবস্থাও তাই। ফলে খালের জলই পান করতে হয় এই গ্রামের বাসিন্দাদের। পুরসভা নাকি পঞ্চায়েত, কে করবে উন্নয়ন? সেই জাঁতাকলে অনুন্নয়নের স্রোতে ভাসছে ঝাড়গ্রামের পচাখালি গ্রাম।
এ এক করুণ দৃশ্য…। বছর বছর এভাবেই খাল থেকে জল নিয়ে গিয়ে তা ব্যবহার করেন এই পরিবারগুলো। জায়গাটা ঝাড়গ্রামের পচাখালি গ্রাম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রচারে উন্নয়নের ঝড় তোলেন বারবার। কিন্তু উন্নয়ন যেন ঝাড়গ্রামের এই পচাখালি গ্রামে থমকে গেছে। এই রাস্তাই নিত্য যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
যেন বিপদই সঙ্গী পচাখালির বাসিন্দাদের। কেন এই অবস্থা পচাখালির? এই গ্রামটি ঝাড়গ্রাম পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রাধানগর গ্রামপঞ্চায়েতের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। এই অবস্থানই ভাগের মা গঙ্গা পায় না পরিস্থিতিতে রেখেছে পচাখালিকে। পুরসভা নাকি পঞ্চায়েত উন্নয়নের কাজ করবে কে? তা নিয়েই দ্বন্দ্ব। যার খেসারতের বাস্তব রূপ হল এই সরু রাস্তা , নেই আলো, নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা।
অবশ্য বছর কয়েক আগে পুরসভার তরফে ট্যাপ বসানো হয়েছিল এলাকায় তবে শেষ কবে জল পড়েছে সেখানে ভুলে গেছে গ্রামবাসী। এই ট্যাপের শ্যাওলা ধরা পরিস্থিতির মতোই নজর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। গতবছরই একটি পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। এবার শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু খাল থেকে জল আজও বয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হন এই এলাকার পরিবারগুলো।
ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বলছেন এবার আর ভোট দেবেন না। রাজ আমল থেকে বঞ্চনার অভ্যাস করে ফেলা এই গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক তরজায় ভাঁটা পড়েনি। উন্নয়ন হোক না হোক। তরজা জারি। আর এই মানুষগুলো বেঁচে আছেন অনুন্নয়নের স্রোতে।