গার্ডেনরিচ কাণ্ডের রেশ কাটেনি। এরইমধ্যে বিপর্যস্ত বউবাজার। ফের বউবাজারের রামকানাই লেনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ির একাংশ। উঠল, বাড়ি ভেঙে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ।
এপ্রিলের ঠাঁ ঠাঁ গরম। আচমকা যেন বিস্ফোরণের মতো শব্দে কেঁপে উঠল বউবাজারের রামকানাই অধিকারী লেন। দিনেদুপুরে ধুলোতে অন্ধকার চারদিক। এলাকায় একটি পুরনো বাড়ি ভাঙার কাজ চলাকালীনই ধসে পড়ল পাশের বাড়ির আস্ত দেওয়াল। বিপত্তির জেরে ফাটল ধরল আশেপাশের বেশ কয়েকটি ঘরেও।
গার্ডেনরিচ কাণ্ড এখনও টাটকা। বারবার উঠে এসেছে অবৈধ নির্মাণের তত্ত্ব। এবার একই ছবি বউবাজারে। না জানিয়েই চলছিল বাড়ি ভাঙার কাজ, অভিযোগ তুললেন স্থানীয়রাই।
না গাইডলাইন। না অনুমতি। তারপরেও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছিল বাড়ি ভাঙার কাজ। বলছেন বাড়ির শরিকরাই।
যদিও, এলাকার কাউন্সিলর খাড়া করেছেন অন্য তত্ত্ব। শরিকি বিবাদের জেরেই চলছিল বাড়ি ভাঙার কাজ। এক পক্ষের শরিক প্রোমাটার দিয়েই বাড়ি ভাঙার কাজ চালাচ্ছিলেন। বাড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া নিয়ে সতর্ক করেছিলেন তিনি নিজেই, বলছেন কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।
বাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ও।
শহরে একের পর এক বহুতল বিপর্যয়। একের পর এক অবৈধ নির্মাণের জেরে ভেঙে পড়ছে বাড়ি। গার্ডেনরিচকাণ্ডের জেরে কার্যত চোখ খুলেছে আমজনতার। নিউটাউন থেকে শুরু করে রাজাবাজার-সহ একাধিক এলাকায় খোঁজ মিলেছে অবৈধ নির্মাণের। সম্প্রতি, বিরাটির শরৎকলোনিতেও বাড়ির চাঙড় ভেঙে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। কিন্তু তারপরেও প্রশাসনের হুঁশ ফিরছে কই? আমজনতার মাথার উপর ছাদটাই নড়বড়ে। দায় নেবে কে?