পুরনো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ভেঙে সমস্ত সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ রাজাডাঙা পঞ্চায়েতের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে
নতুন করে তৈরি হবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। পুরনো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ভেঙে সমস্ত সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ। কাঠগড়ায় জলপাইগুড়ির রাজাডাঙা পঞ্চায়েতের ৩ সদস্য। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তদের। সরব বিরোধীরা।
গ্রামের মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এখন সেই অঙ্গনওয়াড়িই ধ্বংসস্তূপ। জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে ধালাবড়ি এলাকায় অঙ্গনওয়াড়িটি ভাঙা হয়েছে। কারণ নতুন করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি করা হবে। অভিযোগ, এই ঘরের সমস্ত সামগ্রী বিক্রি করে দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের ৩ সদস্য। এই অবস্থায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন কর্মীরা।
রাজাডাঙা পঞ্চায়েতের সদস্য রামিজুল ইসলাম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করছেন পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযুক্ত পঞ্চায়েতের সদস্য রামিজুল ইসলামকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, ‘এখানে নতুন ICDS সেন্টার তৈরির জন্য পঞ্চায়েত সমিতি থেকে একটি টেন্ডার ডাকা হয়েছে। যাতে সুস্থ ভাবে নতুন ঘর নির্মাণ করা যায় আমরা সেই দিকটি দেখছি। সেন্টারের কোনও জিনিস বিক্রি হয়নি, সব কিছুই সুরক্ষিত আছে।’
যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, বিডিওকে অন্ধকারে রেখেই এই কাজ করেছে পঞ্চায়েত সদস্যরা। স্থানীয় বিডিওকেও গ্রামবাসীরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নেমছে বিরোধীরাও।
অভিযোগকারী, ধলাবাড়ির বাসিন্দা জহিরুল হকের দাবি, ‘কোনও টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে সরকারি ঘর। আমরা বিডিও-এর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। এরপরেই আমরা তাঁর কাছে সবার নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা চাই এই ঘটনার তদন্ত হোক।’
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের আশ্বাস এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে কোনও দুর্নীতির কাজে দলের কেউ যুক্ত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃণমূল নেতা অরূপ দে বলেন, ‘আমার মনে হয়না এই ভাবে সরকারি ঘর কেউ বিক্রিও করতে পারে। তবু আমরা বিষয়টি নিয়ে দলীয় ভাবে তদন্ত করব। কেউ যদি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকে তা হলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’