মুখ্যমন্ত্রীর খোলা চিঠি, দলের সর্বস্তরে বার্তা তৃণমূলের

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ২০ এপ্রিল: রাজ্যবাসীর উদ্দেশে চার পাতার খোলা চিঠি লিখে বিজেপি ও আরএসএসকে সরাসরি আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি প্রকাশ্যে আসে সংবাদমাধ্যমে। চিঠির প্রতিটি লাইনে পদ্ম শিবিরের ‘সাম্প্রদায়িক’ রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।

তৃণমূল সূত্রের খবর, জনসমক্ষে আসার আগেই চিঠিটি দলের সব স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং শাখা সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আরএসএস ও তার রাজনৈতিক শাখা বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন, ঠিক সেই ভাষা ও সুরেই কেন্দ্রের শাসকদলকে আক্রমণ করতে হবে। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিটি লিফলেটের আকারে ছাপিয়ে এলাকায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খোলা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, রাজ্যে যে মিথ্যার জাল ছড়ানো হচ্ছে, তার মূল উৎস আরএসএস। তাঁর অভিযোগ, প্ররোচনার মাধ্যমে ঘটে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাগুলিকে হাতিয়ার করে বিজেপি ও আরএসএস বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের লক্ষ্য, এই বিভেদের কৌশল যেন কোনওভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে না পারে, তা নিশ্চিত করা।

দেশ ও রাজ্যকে ভালোবাসেন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা চিঠিতে লেখেন, “আমার আবেদন, সবাই ধীরস্থির ও শান্ত থাকুন। আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কড়া প্রতিবাদ করি এবং তাকে রুখতেই বদ্ধপরিকর। দাঙ্গার পেছনে থাকা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে, পারস্পরিক অবিশ্বাসের পরিবেশ থেকেও আমাদের সতর্কভাবে দূরে থাকতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু—উভয় সম্প্রদায়কে একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল ও যত্নবান হতে হবে।”

শনিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোলা চিঠি, যেখানে প্রতিটি লাইনে তিনি বিজেপি ও আরএসএস-এর ‘সাম্প্রদায়িক’ রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, এই চিঠি জনসমক্ষে আসার আগেই দলের সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি এবং শাখা সংগঠনগুলির শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

সঙ্গে কড়া নির্দেশও দেওয়া হয়েছে—চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আরএসএস ও তাদের রাজনৈতিক শাখা বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন, সেই ভাষা এবং সেই সুর বজায় রেখেই দলের নেতাকর্মীদের প্রচার চালাতে হবে। প্রয়োজনে এলাকায় এলাকায় চিঠিটি লিফলেটের আকারে ছড়িয়ে দিতে হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে, যাতে বার্তাটি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়।

Comments are closed.