অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবেই সিলমোহর দিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবভনে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে একথা ঘোষণা করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন এবং সরকারের রূপরেখা তৈরি করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি শাহবুদ্দিনের সঙ্গে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন তিন সেনাবাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপকেরা। সেই বৈঠকেই সর্বসম্মতিতে মহম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বাংলাদেশের সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নাম প্রস্তাব করেছে ছাত্ররা। সূত্রের খবর ছাত্রদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন নোবেলজয়ী। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে পাকাপাকি ভাবে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
ঢাকার মগবাজারে পার্টির দফতরে ১৩ বছর সাংবাদিক সম্মেলন করল জামায়তে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামী প্রধান শফিকুর রহমান জানান ছাত্রদের নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসকে উপদেষ্টা করার প্রস্তাবে তাঁরা সমর্থন করছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পেলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা ও বিদেশে না যাওয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এর পর ৬ মাস অন্তর সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এবার পাকাপাকি ভাবে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেল থেকে মুক্ত করা হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের। ১ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় যাদের আটক করা হয়েছে, আদালতের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি দফতর।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে বাংলাদশ। হাসিনার পতন ও দেশত্যাগের পর বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত হিংসার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সোমবার রাত থেকেই বহু জায়গায় সম্প্রীতির ছবিও দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের আগলে রাখতে দেখা যায় সংখ্যাগুরুদের। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে পাহারা দেয় আন্দোলনকারী ছাত্ররা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখা যায় বাংলাদেশের সংসদ সহ ঢাকার বিভিন্ন অংশে পরিষ্কারে হাত লাগিয়েছে ছাত্ররা। সকলেই চাইছেন দ্রুত শান্ত হোক বাংলাদেশ, বন্ধ হোক গোলাগুলি।