মার্কিন প্রশাসনের শুল্ক ছাড়ের ঘোষণার বিবৃতি নিয়ে উল্টো দাবি ট্রাম্পের

13

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৮ এপ্রিল: স্মার্টফোন, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিন চিপস সহ বহু পণ্যে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা করার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন, এমনটা মোটেও করেননি তিনি। বরং সংবাদমাধ্যম একহাত নিয়ে ট্রাম্পের তোপ, জেনে শুনে ভুল খবর পরিবেশন করা হচ্ছে সংবাদ মাধ্যম। গত শুক্রবার তাঁর দফতর থেকে মোবাইল, কম্পিউটার, সেমিকন্ডাক্টরের মতো পণ্যের উপর শুল্ক ছাড় ঘোষণা করা হয়েছিল। রবিবার তাও অস্বীকার করলেন ট্রাম্প। জানিয়ে দিলেন, কোনও পণ্যে কোনও ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়নি।

চিনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। পাল্টা চিন ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে মার্কিন পণ্যে। এই আবহে গত শুক্রবার (ভারতীয় সময়ে শনিবার) আমেরিকার শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা দফতরের নতুন নির্দেশনামা প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের মতো কিছু পণ্যের উপর নয়া শুল্কনীতি কার্যকর হবে না। এই ধরনের পণ্য অধিকাংশই আমেরিকায় আমদানি করা হয় চিন থেকে। কিন্তু রবিবার সেই সম্ভাবনায় ইতি টেনে দিলেন নিজেই।

প্রসঙ্গত চিন-সহ একাধিক দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। ভারতের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ। ৯ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তার আগে হোয়াইট হাউস এই বর্ধিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে দেয়।

পাশাপাশি উল্লেখ্য যে বৈদ্যুতিন শিল্পের ক্ষেত্রে যেহেতু বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানুফ্যাকচারিং হাব চিন। ফলে তাদের উপর এই বিপুল পারস্পরিক শুল্ক আদতে ঘুরপথে আমেরিকার জন্য ক্ষতি বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। চিনে মার্কিন সংস্থাগুলির তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকায় বিক্রি করতে গেলে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হবে সংস্থাগুলিকে। আমেরিকার বাজারে দেখা দিতে পারে যোগানের ঘাটতি। যার পরিণতি হল, বৈদ্যুতিন পণ্যের দাম আকাশ ছোঁবে।

Comments are closed.