কলকাতা, ২৭ এপ্রিল: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর পাটুলির বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাড়িতে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
শনিবারও জঙ্গি হামলায় নিহত পর্যটক সমীর গুহর বাড়িতে যান এনআইএ-র আধিকারিকরা। মূলত হামলার আগে, হামলার সময় এবং পরে কী ঘটেছিল, তা জানতে নিহত পর্যটকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা। সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা হাজির হন আরেক নিহত বাঙালি পর্যটক বিতান অধিকারীর পাটুলির বাড়িতে। সূত্রের খবর, হামলার সময়ের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাঁর স্ত্রী সোহিনী রায়ের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন এনআইএ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ঘটে যায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। জঙ্গিদের কালাশনিকভের গুলিতে প্রাণ হারান ২৬ জন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বাংলার তিন পর্যটক—বিতান অধিকারী, সমীর গুহ ও মণীরঞ্জন মিশ্র। শনিবার সমীর গুহর বাড়িতে তদন্তের জন্য পৌঁছান এনআইএ-র সদস্যরা। সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিতান অধিকারীর বাড়িতেও হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
পাশাপাশি কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। স্থগিত করা হয়েছে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও জানিয়েছে, তারা আর শিমলা চুক্তি মানবে না। ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
২২ এপ্রিল বৈসরন ভ্যালিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন পর্যটক, আহত হন আরও অনেকেই। নিহতদের দেহ ইতিমধ্যেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং বেশিরভাগের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। মার্চ ও এপ্রিল মাস কাশ্মীর ভ্রমণের আদর্শ সময় হওয়ায়, সেদিন বৈসরন ভ্যালিতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল বেশ অনেকটাই। চোখের সামনে গুলিতে ঝরে পড়েন পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুরা—এই বিভীষিকাময় মুহূর্তের সাক্ষী থাকেন অনেকেই। যারা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের বর্ণনায় আততায়ীদের স্কেচ তৈরি করে ইতিমধ্যেই তা প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
Comments are closed.