Mumbai-Ahmedabad Bullet Train Project: ছ’মাসেই শেষ নতুন সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ, কবে চালু হবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন পরিষেবা
মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেনের কাজ আরও দ্রুত শেষ করার জন্য মুম্বইয়ের ঘানসোলিতে ৩৯৪ মিটার লম্বা আরও একটি অতিরিক্ত টানেল নির্মাণ করল সরকার। এই টানেল থানে ক্রিক সংলগ্ন বিকেসি এবং শিলফাটার মধ্যে ২১ কিলোমিটার লম্বা মূল টানেলের কাজ আরও দ্রুত শেষ করতে সাহায্য করবে।
ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচএসআরসিএল) সূত্রে খবর, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করছে বিশেষ সংস্থা। নতুন ২৬ মিটার গভীর এবং ৩.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি, ১.৬ মিটার দীর্ঘ টানেলে উভয় দিকে যোগাযোগের সুবিধা দেবে। ২১ কিলোমিটারের মূল টানেলের খননের জন্য ১৬ কিলোমিটার খনন করা হবে বোরিং মেশিন ব্যবহার করে খনন করা হবে, এবং বাকি 5 কিলোমিটার খনন করা হবে নতুন অস্ট্রিয়ান টানেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে।
৩৯৪ মিটার লম্বা মধ্যবর্তী টানেলের খনন কাজ ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ শুরু হয় এবং ছ’মাস পরে তা শেষ হয়। এই সম্পূর্ণ খনন কাজটি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ২৭,৫১৫ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছে এবং ২১৪টি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ করা হয়। মধ্যবর্তী টানেলটি সমগ্র নির্মাণকাজ পরিচালনার সময় প্রধান টানেলে সরাসরি যানবাহন চলাচলে সাহায্য করবে। এ ছাড়াও জরুরী সময়ে বিকল্প পথ হিসাবেও ব্যবহার করা যাবে।
মুম্বাই বুলেট ট্রেন স্টেশন থেকে মহারাষ্ট্রের শিলফাটা পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এই টানেলের প্রায় সাত কিলোমিটার থানে খাড়ির নীচে দিয়ে যাবে। এই একক-টিউব টানেলে বুলেট ট্রেনের যাওয়ার জন্য দুটি লাইন থাকবে, যা দিয়ে টানেলের মধ্যে ৩২০ কিমি প্রতি ঘন্টায় বুলেট ট্রেন যেতে পারবে। বর্তমানে বিকেসি, ভিক্রোলি এবং সাভলীতে টানেল বোরিং মেশিন ব্যবহার করে ১৬ কিলোমিটার টানেলের খনন কাজ চলছে।
কবে চালু হবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন?
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মার্চ মাসেই ঘোষণা করেছিলেন যে বহুল প্রত্যাশিত বুলেট ট্রেন প্রকল্প ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সুরাট এবং বিলিমোরার মধ্যে চালু হবে এই পরিষেবা৷ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে প্রাথমিক বিলম্ব সত্ত্বেও, ২০২১ সালের নভেম্বরে কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন করিডরটির কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তৎকালীন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সালে আহমেদাবাদে প্রকল্পটি সূচনা করেন।