এ যেন কাঁটা দিয়েই কাঁটা তোলার চেষ্টা। কাটার নাম আম্বানি এবং আদানি। এত দিন যে ইস্যুতে বিজেপিকে বারবার রক্তাক্ত করেছেন রাহুল গান্ধী এবার সেই ইস্যুতেই রাহুলকে পালটা খোঁচা মোদীর।
ভোটের আগে আম্বানি-আদানি ইস্যুতে কেন চুপ রাহুল গান্ধী? তবে কি কংগ্রেসও ভোটের আগে ভাল অনুদান পেয়েছে? তেলেঙ্গানা থেকে খোঁচা মোদীর।
বুধবার তেলেঙ্গানার ওয়ারঙ্গেল থেকে এইভাবেই রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এদিন প্রচার সভা থেকে নমো বলেন ,’পাঁচ বছর ধরে গলা ফাটিয়ে এখন আদানি আম্বানী নিয়ে রাহুলেরা হঠাৎ চুপ করে গেলেন কেন ভোটঘোষণার পর তিনিও কি এই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন?’
মোদী বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে কংগ্রেসের শাহজাদা একটাই কথা বলেন। রাফায়েল নিয়ে যখন কিছু হয়নি, তখন নতুন মন্ত্র পড়তে শুরু করে তিনি। ব্যবসায়ীদের নাম নিয়ে আক্রমণ করতেন। ধীরে ধীরে ভোট ঘোষণার পর থেকে তিনি এখন আর আম্বানী-আদানিদের নাম নেন না। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাহুল তাঁদের নিয়ে আর কোনও কথা বলছেন না। আম্বানী এবং আদানিকে নিয়ে বাজে কথা বলাও বন্ধ করেছেন। আমি তেলঙ্গানার মাটি থেকে তাঁকে প্রশ্ন করতে চাই, অম্বানীদের থেকে কত কালো টাকা নিয়েছেন তিনি? ভোটের আগে কংগ্রেস পার্টি কত টাকা নিয়েছে? বিষয়টি গোলমেলে। পাঁচ বছর ধরে গলা ফাটিয়ে রাতারাতি কেন চুপ করে গেলেন তিনি?’’
মোদীর অভিযোগের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগেছেন রাহুলের বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘এই সব অভিযোগ করার আগে প্রধানমন্ত্রী বলুন, দেশের সম্পত্তি তিনি কাদের হাতে তুলে দিয়েছেন?’
বার বার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপতিদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সংসদেও। কিন্তু এবার যেন রাহুলের অস্ত্রেই রাহুলকে পরাস্ত করতে মাঠে নামলেন নমো। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই তেলেঙ্গানার কংগ্রেস সরকার আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিনিয়োগ নিয়ে মউ স্বাক্ষর করে।